সরকার পতনের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারী থেকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি । স্থায়ী কমিটির সভায় স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের পতনের দাবীতে এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম’এর খেতাব বাতিলের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে আগামী বুধবার ১৭ বরিশাল বিভাগ বাদে দেশের সকল মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠানের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারর্পাসন কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহিত প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তবলীর বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করে আজ জানানো হয়েছে। এ সময়ে তারা ১৭ ফেব্রুয়ারী সারা দেশে কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
এক ভার্চুয়াল সভায় দেশে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় এস সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জিয়াউর রহমানরে বীর উত্তম খেতাবের বাতিলের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে আবোরো বিক্ষোভ কর্মসূচি দি্য়েছে বিএনপি। আগামী বুধবার বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারাদেশে মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশের এই কর্মসূচি হবে।
রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষনা করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্র পতনের দাবিতে ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব বাতিলের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে আগামী বুধবার বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারাদেশে মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।”
একইসঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি বরিশাল সদরে আয়েজিত সমাবেশে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশ নেয়ার আহবান জানান খন্দকার মোশাররফ।
পরবর্তিতে আরো কর্মসূচি আসবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘‘পে ধাপে অবশ্যই কর্মসূচি থাকবে।”
‘‘ এছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সরকার পতনের আন্দোলন আমাদের চলমান আছে। বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করতে যাচ্ছি। আগামী ১৮ তারিখ বরিশালে আমাদের যে সমাবেশ এটাও তো আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে আন্দোলনকে আমরা
নেতারা বলেন , মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বছরের প্রথমেই দেশ, দেশের সরকার প্রধান এবং দেশের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক এক স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের বিশ্বাসযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য জবাব না দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে এড়িয়ে যাওয়ার সরকারি অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, দেশের নাগরিক সমাজ এবং দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সংগঠন,
সংবাদপত্রে বিষয়টি নিয়ে যেসব উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে দেশের ভাবমূর্তী সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাফিয়া গোষ্ঠীকে সহায়তাসহ রিপোর্টে উত্থাপিত তথ্যাদি ও অভিযোগ সমূহের যুক্তগ্রাহ্য জবাব তথ্য প্রমাণসহ উপস্থাপন করা সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা কিম্বা ব্যর্থতা শুধু সরকারের অপরাধ প্রমান করবেনা দেশের স্বার্থ ও ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।