সুরা ইখলাসের ফজিলত

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২
0

সুরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ০৪। সুরা কাওসারের পর ইখলাসই সবচেয়ে ছোট সুরা। ইখলাস অর্থ একনিষ্ঠতা, ভক্তিপূর্ণ আনুগত্য।

ইসলামের প্রাথমিক সময়ে সুরাটি অবতীর্ণ হয়। ইখলাস বলা হয়, শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী হওয়াকে। এ মর্মার্থের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়েছে সুরা ইখলাস।

সুরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ সমতুল্য। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন। অতঃপর সকালে নবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন নবী (সা.) বলেন, ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০১৩)

ইমাম আহমাদ রহ. …… উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, মুশরিকরা একদিন বললো, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদেরকে আপনার প্রতিপালকের বংশনামাটি একটু শুনান দেখি।

এর উত্তরে আল্লাহ তাআলা সূরা ইখলাস নাযিল করেন। (ইবনে কাসির)

আবু ইয়ালা মুসিলী রহ. ….. জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এক বেদুঈন বললো, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার প্রতিপালকের নসবনামাটা একটু বলুন দেখি।

তখন আল্লাহ তাআলা সূরা ইখলাস নাযিল করলেন। (ইবনে কাসির)

যোগসূত্র

সূরা দুহা’র ভুমিকায় যে সমস্ত জ্ঞাতব্য বিষয়ের উল্লেখ আছে, তাওহীদ তারমধ্যে অন্যতম। এ সূরায় তাওহীদের বয়ানই আছে। (তাফসীরে আশরাফী)