আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া না হলে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
শুক্রবার বিকাল তিনটায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সবার জন্য টিকা, নিম্নআয়ের মানুষের জন্য রেশনিং এবং জনজীবন সচল রাখার তিন দফা দাবিতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এসব কথা নুর।
ভিপি নুর বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই এতো দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নেই। বাংলাদেশ ১৫ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। আজকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই অটোপাস দেওয়া হচ্ছে। এই অটোপাস মূলত তাদের ধ্বংস ডেকে আনছে। দ্রুত সব শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যবস্থা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন। এই সরকার আসলে টালবাহানা করে সময় কাটাতে চায়, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস হচ্ছে সেদিকে কোনো মনোযোগ নাই। এখন পর্যন্ত অসংখ্যবার ডেট দিয়েও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারেনি কিংবা কোনো রোডম্যাপ দিতে পারেনি সরকার।
নিজের নেতাকর্মীদের মুক্তি চেয়ে ছাত্র-যুব-শ্রমিক ও প্রবাসী অধিকার পরিষদের এই প্রধান সমন্বয়ক বলেন, আমাদের এখানে আজ অনেক মুক্তিযোদ্ধাই আছেন তাদের কয়জনকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে? অথচ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দাওয়াত করা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেটির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী সহযোদ্ধা আজ জেলে। তাদেরকে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমি আটক সব নেতাকর্মীর অবিলম্বে মুক্তি চাই।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ প্রমুখ।