সৈয়দপুরে দাদন ব্যবসায়ীর ধর্ষণে মানসিক প্রতিবন্ধী ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা; থানায় এজাহার, অভিযুক্ত গ্রেফতার

আপডেট: জুন ২৪, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করার ফলে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক বাকপ্রতিবন্ধি যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকারকারী দাদন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বোতলাগাড়ী মাঝাপাড়া গ্রামে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মাঝাপাড়ার রিকশা চালক রফিকুল ইসলামের মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে পদ্মা (ছদ্মনাম)। মেয়েটির মা জয়তুন মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। পাড়ার একেবারে নির্জন বাঁশঝাড় এলাকায় দরিদ্র রফিকুলের মাথাগোঁজার ছোট্ট ঘর। মা ও বাবা কাজের জন্য বাইরে গেলে মেয়েটি একাই বাড়িতে থাকে।

এই সুযোগে প্রতিবেশী মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে দাদন ব্যবসায়ী আবু সালেহ (৫৫) ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে। এমতাবস্থায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসা করায় সে জানায়, আবু সালেহ তাকে বিয়ে করবে বলে মেলামেশা করেছে। এতে রফিকুল কে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে অস্বীকার করে এবং কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়েটির মা জয়তন ২৪ জুন বৃহস্পতিবার সকালে সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা নং ১৯, তারিখ ২৪/০৬/২০২১ ইং। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ওইদিনই দুপুর সাড়ে ১২ টায় আবু সালেহ কে তার মাঝাপাড়াস্থ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে গ্রেফতারকৃত দাদন ব্যবসায়ী আবু সালেহকে জেলা হাজতে প্রেরণ করে এবং ভিকটিম পদ্মা (ছদ্মনাম) শারীরিক পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এজাহারকারী জয়তুন জানান, মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আবু সালেহ কে জানালে সে সুদখোর ও প্রভাবশালী হওয়ায় গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আমার মেয়েকে দোষারোপ করে। এ ব্যাপারে যেন আর কোন কথা না বলি সেজন্য সে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় কোন বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে থানায় এসে এজাহার করেছি। পুলিশ ধরে আনার পর ধধর্ষণের কথা স্ববীকার করলেও বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেনা। আমি এর সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল হাসনাত খান মুঠোফোনে জানান, মেয়ের মায়ের এজাহারে ভিত্তিতে অভিযুক্ত আবু সালেহ কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট আসলে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পাবে।

শাহজাহান আলী মনন
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি