সৈয়দপুরে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে সমভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া দিতে চায় নৌকা প্রত্যাশী বাবুল সরকার

আপডেট: মার্চ ১০, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সর্বত্র সমভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া দিতে চায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী মোঃ মহসিন-উল-মুলুক বাবুল সরকার। এজন্য তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সৈয়দপুর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল সরকার মনে করেন, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন মূলতঃ দুইটি বৃহৎ অংশে বিভক্ত। সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়ক মধ্য বরাবর চলে যাওয়ায় ভৌগলিক আকারেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এ বিভক্তি। সড়কের পূর্ব দিকের উত্তর ও দক্ষিণ সোনাখুলি এলাকা নিয়ে বড় অংশটিতে ৫টি ওয়ার্ড এবং পশ্চিম দিকের বোতলাগাড়ী ও শ্বাষকান্দর এলাকা নিয়ে ৪টি ওয়ার্ড। তারপরও বেশিরভাগ সময় পশ্চিমাংশের প্রার্থীই চেয়ারম্যান হয়েছেন।

কিন্তু বিগত দিনে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা ইউনিয়নের সব এলাকায় সমানভাবে কাজ করেনি। এতে উন্নয়নের দিক দিয়ে উভয় অঞ্চলের বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে। সেই সাথে বড় অংশের বিপুল জনগন উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এর ফলে এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একারনে ইউনিয়নটি বিভক্ত করে পৃথক সোনাখুলি ইউনিয়ন গঠনের আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা ফাইল মন্ত্রনালয়ে লাল ফিতায় বন্দি হয়ে আছে।

ইতোপূর্বে এই ক্ষোভ কে পুঁজি করে সোনাখুলি এলাকা থেকে একচেটিয়া ভোট নিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামীলীগ প্রার্থী মরহুম হামিদুল ইসলাম চৌধুরী। কিন্তু তিনি পশ্চিমাংশের ভোটারদের নিজেদের পক্ষে ধরে রাখতে নিজ এলাকার উন্নয়ন না করে শুধু ওই এলাকাতেই একতরফা কাজ করেছেন। একারনে পরেরবার নির্বাচিত হন বোতলাগাড়ীর সাইদুর রহমান সরকার। পৃথক সোনাখুলি ইউনিয়নের দাবী এবং সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার সুযোগে তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর নানা অজুহাতে আকড়ে থাকেন চেয়ারম্যান পদ।

এতে আবারও দানা বাধে সোনাখুলি ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া। এরই সূত্র ধরে দীর্ঘ দিন পর বাবার মতো নৌকা নিয়ে সোনাখুলি এলাকা থেকে নির্বাচিত হন আল হেলাল চৌধুরী। কিন্তু ৪ বছরে তার কাজেও সেই একই চিত্র দেখা যায়। এরই মধ্যে তিনি মারা যান। ফলে সোনাখুলিবাসীর বঞ্চনা যেমন কমেনি, তেমনি পূরণ হয়নি তাদের কাঙ্খিত প্রত্যাশা।

সাবেক যুবলীগ নেতা বাবুল সরকার বলেন, এই টানাপোড়ন থেকে উত্তরন ঘটিয়ে পুরো ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাতে সমভাবে উন্নয়ন করার বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজন সব অংশের মানুষের সাথে সুসম্পর্ক ও বিভেদহীন মানসিকতার। আমি এক্ষেত্রে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। যার ফলে এমন উপলব্ধি হয়েছে এবং ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের সাথে হৃদ্যতার সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। দল মত নির্বিশেষে সকলের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আমাকে নিয়ে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তাই আমি মনে করি যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে বিজয়ী হয়ে ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সফল হবোা। সব এলাকায় সমানভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া দিয়ে বৈষম্যের অবসান ঘটানো যাবে।