সৈয়দপুরে মতির বাজারে অগ্নিকান্ডে ১০ টি দোকান ভস্মিভুত ॥ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ॥
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছা মতির বাজার এলাকায় মতি জোতদারের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ১১ মার্চ বুধবার দিবাগত রাত ৩ টায় সংঘটিত অগ্নিকান্ডে মার্কেটের ১০ টি দোকানের সকল মালামালসহ পুড়ো অবকাঠামো ভস্মিভুত হয়েছে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে চরমভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরাসহ মার্কেটের মালিক।
জানা যায়, বুধবার রাত ৩ টার দিকে ওই মার্কেটে আগুন লাগে। গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের কারণে দোকানের লোকজন বাড়িতে অবস্থান করায় ক্রমেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে আশে পাশের লোকজন টের পেয়ে খবর দিলে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী এবং দোকান মালিক ছুটে আসে। কিন্তু তার আগেই ১০ টি দোকান মালামালসহ সম্পূর্ণরুপে পুড়ে যায়। প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মার্কেটের মালিক রইচ উদ্দিন জোতদার মতি জানান, আগুনের কারণ জানতে পারিনি। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আগুনে মার্কেটের ১০টি দোকানই পুড়ে গেছে। দোকানদাররা বাড়িতে থাকায় মালামালও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে মার্কেটের সকল অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে ৪০ লাখ টাকার মার্কেট ও মালামালসহ প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
মার্কেটের দোকানদের মধ্যে ভিগো ইলেকট্রনিক্স শো রুমের মালিক রবিউল ইসলাম জানান, তার দোকানের টিভি, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাসের চুলা, ইলেকট্রিক চুলাসহ ক্রোকারিজ ও প্লাস্টিকের চেয়ার টেবিলসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল যা সম্পূর্ণই পুড়ে গেছে।
এছাড়া শহিদুল ইসলামের মুদি দোকানের ৩শ’ বশস্তা চাউল, ৫০ বস্তা আটা, ১০ বস্তা মসুর ডাল, ৫শ’ বোতল সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল ভস্মিভুত হয়েছে। সেই সাথে রশিদুলের মুদি দোকানের ২ লাখ টাকার, ওবায়দুল হকের কাপড়ের দোকানের ২ লাখ টাকার, লাবনী ট্রেডার্স নামের সার ও কীটনাশক দোকানের ৪ লাখ, জিয়ারুলের মুরগীর দোকানের ফ্রিজসহ ২ লাখ টাকার, গোলাপীর হোটেলের ২ লাখ এবং রতন বাবুর সেলুন দোকানের ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খুরশিদ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। অগ্নিকান্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সম্পর্কে তদন্ত করেই বলা সম্ভব হবে। (