বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।
স্ত্রী ও তার ইচ্ছে ছিল মৃত্যুর পর দু’জনকে যেন পাশাপাশি দাফন করা হয়।
গগত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী প্রিয়া রহমান। পরদিন টাঙ্গাইলে স্ত্রীর দাফন শেষে তিনি তার নিজ বাস ভবন ঢাকায় চলে যান। বাসায় গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সাড়ে ৩টার দিকে পরিবারের লোকজন তাকে ঘুম থেকে জাগাতে গেলে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই তার মরদেহ শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইল শহরের পলাশতলী এলাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই গুণী পরিচালকের মুখটা একবার দেখতে ভীড় করেন স্বজন ও এলাকাবাসী। সকাল ৯টায় টাঙ্গাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে জানাজা শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, বাংলা চলচ্চিত্রের নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’। এ নির্মাতার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ, মৌসুমী, পপি ও ইরিন জামান। শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমার পরিচালকও ছিলেন এই গুণী পরিচালক।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘আমার দেশ’
সোহানুর রহমান সোহান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে টানা দুবার মহাসচিব এবং দুবার সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে খ্যাতিমান এই পরিচালকের টাঙ্গাইলে জানাজা ও দাফনের সময় কোনো পরিচালক ও নায়ক নায়িকারা উপস্থিত ছিলেন না।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ছবির পরিচালক রিয়াজুল রিজু জানান, সোহানুর রহমান সোহান বাংলা চলচ্চিত্রের একজন খ্যাতিমান গুণী পরিচালক ছিলেন। তিনি তার পরিচালিত সিনেমার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের অনেক স্টার তৈরি করেছেন। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তিনি।
সোহানুর রহমানের জানাজার নামাজে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক রিয়াজুল রিজু, চলচ্চিত্র লেখক আবু সাঈদ চৌধুরী, শ্যালক শাহী, আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।