হেফাজত নেতা মামুনুল ও মাদানীসহ ১৪ নেতা কাশিমপুর কারাগারে

আপডেট: মে ১২, ২০২১
0

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ হেফাজত ইসলামের গ্রেফতারকৃত নেতা মামুনুল হক ও শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ১৪ নেতাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মে) দিবাগত রাতে তাদেরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওই কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, রাষ্ট্র বিরোধীসহ নাশকতা কর্মকান্ড ও ডিজিটাল আইনে দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারকৃত হেফাজত ইসলামের মামুনুল হক ও রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ১৪জন নেতাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (১১ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে পুলিশের প্রহরায় একটি প্রিজনভ্যানে করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওই কারাগারে পাঠানো হয়।

এদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে বুধবার দুপুরে এ কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২’তে স্থানান্তর করা হয়। গ্রেফতারের পর ঢাকায় নেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ কারাগারেই (কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২) বন্দি ছিলেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের সহকারি কমিশনার শুভাশীষ ধর জানান, রাষ্ট্র তথা সরকার বিরোধী ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী উস্কানী ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৬) গত ৭এপ্রিল ভোররাতে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার বাড়ি থেকে আটক করে র‍্যাব-১ এর সদস্যরা। তিনি ওই এলাকার মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। ওই দিন রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জিএমপি’র গাছা থানায় ৮ এপ্রিল ও বাসন থানায় ১১ এপ্রিল একটিসহ দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারের পর জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২’তে পাঠানো হয়।

রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটককালে তার কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ‘এডাল্ট কনটেন্ট’ অশ্লীল ভিডিও চিত্রসহ পর্নোগ্রাফি পাওয়া যায়। এসব এডাল্ট ছবি ও ভিডিও তিনি নিয়মিত দেখতেন এবং সেগুলো স্টোর করতেন ও লিংক দিতেন। এজন্য রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলায় পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা সংযোজন করা হয়। এ দু’টি মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার তেজগাঁও থানার অপর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ফের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর।