২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় দলের স্পন্সর হলো দারাজ

আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২১
0

অনুর্ধ্ব-১৯ দলের স্পন্সর হতে যাচ্ছে শীর্ষস্থানীয় এ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম

[ঢাকা ৭ এপ্রিল, ২০২১

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন স্পন্সর হচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ (https://www.daraz.com.bd/) । এর ফলে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল (নারী ও পুরুষ), বাংলাদেশ এ দল এবং বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের কিটে থাকবে দারাজের লোগো। দারাজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হাংরিনাকি দলের কিটস পার্টনার হিসেবে থাকবে। আজ থেকে শুরু হওয়া এ স্পন্সরশিপ কার্যকরী থাকবে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশের ক্রিকেটে দারাজকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘খুবই অল্পসময়ে দারাজ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এবং বলা যেতে পারে, এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট। কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারির প্রতিকূল সময়সহ অন্যান্য সময় দারাজ যেভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাসার দোরগোড়ায় গ্রাহকসেবা দিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘দারাজের মতো আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করা প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে বিসিবি আনন্দিত। এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসার জন্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে এর ব্র্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের জন্য আমি দারাজকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা উভয়ই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাফল্য প্রত্যাশী বলে আমি আশাবাদী দারাজের সাথে আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।’

এ প্রসঙ্গে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘দেশের জন্য কিছু করতে পারা নিঃসন্দেহে আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দদায়ক। জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর হওয়ার সুযোগ পেয়ে আমাদের মনে হচ্ছে আমরা বাংলাদেশে ক্রিকেটের আবেগ ও গৌরবের অংশীদার হতে পেরেছি। দারাজ গর্বিত, কারণ এর মাধ্যমে আসছে বছরগুলোতে দলের প্রতিটি বিশেষ প্রাপ্তি ও সাফল্যের সাথে জড়িত থাকবে দারাজের নাম।’

দারাজ:

দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ। দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে।

দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।