২৮ জুন থেকে সীমিত ও ১ জুলাই থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন

আপডেট: জুন ২৬, ২০২১
0
file photo

আগামী ২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। আর ১ জুলাই থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়িত হবে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার। জানা গেছে, সোমবার থেকে লকডাউন থাকলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১ জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এর আগে দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সোমবার থেকে সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এবার লকডাউনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে আগের বারের চেয়ে বেশি কড়াকড়ি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা, হিসাব বিভাগের সব অফিস, খাদ্যপণ্য পরিবহন, কৃষি, পোল্ট্রিসহ প্রাণীসম্পদের যানবাহন, ওষুধ, হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবা, গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্তদের চলাফেরায় কোনো বাধা থাকবে না। প্রবাসীদের মধ্যে যাদের বিমান টিকিট থাকবে তাদেরও চলাচল অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে সরকার। সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করলেও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত লকডাউনের প্রজ্ঞাপনে উল্লে­খ থাকবে।

এর আগে শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে এই কঠোর লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে।

ওইদিন রাতে তথ্যবিবরণী দেওয়ার পাশাপাশি একই বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দেব। আগামী ২৮ তারিখ থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ দেব। এরপর প্রয়োজন হলে সেটা আমরা বাড়াব। এটা কঠোরভাবে সবাই যেন প্রতিপালন করে সেজন্য বেশি কড়াকড়ি থাকবে। এটি নিশ্চিতে মাঠে পুলিশ-বিজিবি থাকবে। এমনকি সেনাবাহিনীও থাকতে পারে। মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না, অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। তবে বাজেটসংক্রান্ত কার্যক্রম এনবিআর বা পেমেন্ট সম্পৃক্ত অফিসগুলো খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবা ইন্টারনেট, গণমাধ্যম ইত্যাদি খোলা থাকবে।