অনুমতি ছাড়াই সমুদ্রসীমায় মার্কিন নৌবিহার : উদ্বিগ্ন ও ক্ষুদ্ধ ভারত

আপডেট: এপ্রিল ১০, ২০২১
0

কোনও ধরনের পূর্বানুমতি না নিয়েই ভারতের সমুদ্রসীমার বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে (ইইজেড) প্রবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর। পরিচালনা করেছে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ নামে অভিযান। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।ভারত সরকার বলছে, এ ঘটনা তাদের সমুদ্র সুরক্ষা নীতির সঙ্গে যায় না। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক চ্যানেলে নয়াদিল্লির উদ্বেগের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রশাসনে।শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বুধবার ভারতের লক্ষদ্বীপ থেকে আনুমানিক ১৩০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে ভারতীয় সমুদ্রসীমায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের ভেতরে অবস্থান করছিল যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর জন পল জোনস। এ সময় ফ্রিডম অব নেভিগেশন নামে অভিযান পরিচালনা করেছে এ বহর। আন্তর্জাতিক আইন মেনে এমন কার্যক্রম পরিচালনায় ভারতের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ছিল।

বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের অধীনে ইউএসএস জন পল জোনস পারস্য উপসাগর থেকে মালাক্কা প্রণালির দিকে যাত্রা করেছে। যাত্রাপথে এ নৌবহর লক্ষদ্বীপের কাছে ভারতীয় সমুদ্রসীমায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের ভেতর পূর্বানুমতি ছাড়া অবস্থান করেছে। এ ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ প্রণীত কনভেনশন অন দ্য ল অব সি মেনে চলতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত সরকার। এ নীতিমালা কোনো দেশের সমুদ্রসীমার বিশেষ অর্থনৈতিক জোন, মহীসোপানে অন্য কোনো দেশের সামরিক উপস্থিতি, মহড়া পরিচালনা এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারের অনুমোদন দেয় না। এসব সামরিক কর্মকাণ্ড চালাতে হলে অবশ্যই আগে থেকে উপকূলীয় দেশটির অনুমতি নিতে হবে।

তবে এক বিবৃতিতে মার্কিন নৌবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ফ্রিডম অব নেভিগেশন অভিযান একটি রুটিন কাজ। আগেও এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে। সংশ্লিষ্ট সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন মেনেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

যদিও এ অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’ সক্রিয় রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে এ জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উন্মুক্ত ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চল গড়তে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয় জোটের দেশগুলো।