আইনজীবীদের একমাত্র লক্ষ্য জনগণের সেবা করা : প্রধান বিচারপতি

আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৩
0

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা যেখানে যেই কাজই করি না কেন আইনজীবীদের একমাত্র লক্ষ্য হলো জনগণের সেবা করা।

শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আসা বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন। এরপর প্রধান বিচারপতি জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন এবং বিচারকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য সারাদেশে সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া দেশে ৬৪টির মধ্যে ৩৪টি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায়ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্মাণ করা হবে। মামলাজট নিরসনে পাঁচ হাজার বিচারক নিয়োগের জন্য প্রতি বছর এক শ’ জনের বেশি বিচারক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় বিচারক সঙ্কট নিরসনে বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে। বিচারকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সময় অনুযায়ী অফিস করতে। তবে কেউ যদি গাফিলতি করেন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চুয়াডাঙ্গায় মামলার জট বেড়েই চলেছে এই প্রসঙ্গে সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত সুপ্রিম কোর্ট দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমরা বলেছি, এতদিনে যে মামলা জট হয়েছে, এই জট কমাতে আরো প্রায় পাঁচ হাজার জুডিসিয়াল অফিসার দরকার। আমি আসার পরপরই একটি সার্কুলার ইস্যু করি, পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করি।

তিনি বলেন, আপনারা শুনলে খুশি হবেন, সারাদেশে গত এক বছরে ডিসপোজালের রেট আগের বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আমাদের যে কয়জন অফিসার আছেন তারা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু মামলার জট একজন অফিসারের দ্বারা শেষ করা সম্ভব না। আমরা চেষ্টা করব আরো অফিসার চুয়াডাঙ্গায় দেয়ার।

এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম, জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার এবং জজকোর্ট ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।