আওয়ামী লীগ ১৪ বছরের শাসনামলে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে ভূলুন্ঠিত করেছে—তারেক রহমান

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
0

আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১৪ বছরের শাসনামলে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা, ভাষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণীতে এ মন্তব্য করেন। বিএনিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপিতে এ বাণী গনমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বাণীটি দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো হুবুহু…………..
‘আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক ২০০৭ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা হয়। প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর এই দিবসটি পালন করে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশ সমূহ।

গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আমি বিশে^র গণতন্ত্রকামী মানুষদের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও পুণ:রুদ্ধারের জন্য দেশ-বিদেশের যারা আত্মদান করেছেন ও আহত হয়েছেন তাদের জন্য জানাচ্ছি শোক ও সমবেদনা। রক্তস্নাত বাংলাদেশের স্বাধীনতা এ যাবৎকালের শ্রেষ্ঠ অর্জন। গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সামনে রেখেই আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ বিজয় অর্জন করেছিল। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা আজও কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশে বর্তমানে জনগণের অধিকার হরণ করে জুলুমের রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১৪ বছরের শাসনামলে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা, ভাষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে। মূলত: এটি পুরনো বাকশালের পূণ:মূদ্রন। গণতন্ত্র পুণ:রুদ্ধারের আপোষহীন নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সারাদেশে বিএনপি’র লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারী ভয়াবহ জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেককে গুম করে দেয়া হয়েছে, জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছে অনেকের। অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। বিএনপি ছাড়াও ভিন্নমতাবলম্বীরা সরকারী স্টীম রোলারের নীচে পিষ্ট হয়ে আসছেন।

গণতন্ত্র হচ্ছে এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে সরকারের গৃহীত নীতি ও কার্যক্রমে প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ থাকে। অর্থাৎ জনগণের ইচ্ছায় দেশ পরিচালিত হয়। গণতন্ত্র মানবজাতির এক সর্বজনিন অনন্য অর্জন। গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র মানবসভ্যতার অগ্রগতির মানদন্ড। গণতন্ত্রের আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরীর ক্ষেত্রে সব নাগরিকের সমান অংশগ্রহণ রয়েছে। নাগরিকদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা দেশ পরিচালনাই হচ্ছে একটি সরকারের বৈধতার গ্যারান্টি

। কিন্তু দেশে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের যাঁতাকলে গণতন্ত্রের বিকশিত হওয়ার পথকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে আঁকড়ে ধরার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রের নিষ্ঠুর বেড়াজাল দিয়ে দেশে দেশে একনায়কতন্ত্র ও একদলীয় শাসনের মাধ্যমে জনগণকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশেও এমন একটি বিভিষিকাময় শাসন বিদ্যমান রয়েছে। যার নমূনা দিনের ভোট রাতে হয়, অথবা বিনাভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।
তবে আমি মনে করি-ইনক্লুসিভ, সমানাধিকার ও অংশগ্রহণের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত হয়। আমাদের অঙ্গিকার হোক-গণতন্ত্রমণা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছা। টেক ব্যাক বাংলাদেশ।