আদর্শ শিক্ষার আলোর বাতিঘর সোনাহাট ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়

আপডেট: জুন ২০, ২০২২
0

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আদর্শ শিক্ষার অনন‍্য এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনাহাট ডিগ্রী মহাবিদ‍্যালয়। দুধকুমর নদের ভাঙ্গন কবলিত সোনাহাট ও চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মানুষের আলোর বাতিঘর হিসাবে দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আদর্শ শিক্ষার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সোনাহাট ডিগ্রী কলেজ। কলেজটির অধক্ষ বাবুল আক্তারের দক্ষ নেতৃত্বে জেলার ও উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরুস্কার লাভ করার গৌরব অর্জন করেছে এবং তিনিও পুরুষ্কৃত হয়েছেন উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ‍্যক্ষ হিসেবে।
শিক্ষার পাশাপাশি কলেজটির একাডেমিক ভবন সহ ক্যম্পাসটি দৃষ্টি নন্দন হওয়ায় প্রতি নিয়ত কলেজটির সৌন্দর্য দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে বনভোজন করার জন্য মানুষজন আসছে। কলেজ ক‍্যাম্পাস এখন পিকনিক স্পটে পরিনত হয়েছে।
জানা গেছে ১৯৯৯ সালে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বাবুল আক্তার, এলাকার বিদ্যোৎসাহী কিছু ব্যক্তি এবং ওই সময় উচ্চ শিক্ষায় সদ্য পাশ করা কিছু সু শিক্ষিত যুবক নিয়ে এলাকায় শিক্ষার উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। তৎকালিন সংসদ সদস্য একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের মূল্যবান মতামতও পরামর্শ এবং আর্থিক সহায়তায় কলেজটি আজ এ পর্যায়ে এসে পৌছেছে।
প্রথমে এইচএসসি পর্যন্ত চালু হলেও ২০১০ সালে স্নাতক এবং ২০১৫ সালে বিএম শাখা খোলা হয়। বর্তমানে কলেজের শিক্ষক সংখ্যা ৫৪ জন এবং শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। চারদিকে দৃষ্টি নন্দন সীমানা প্রাচীর ও শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষন ও শিক্ষার জন্য টাইলস দিয়ে মানচিত্রে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের বর্ণনা করা হয়েছে। শুধু তাইনয়, কলেজটিতে রয়েছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বিশাল অডিটেরিয়াম,নামাজের জন্য মসজিদ,ফোয়ারা, কৃত্রিম ঝরণা,শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ এবং শিক্ষকছাত্র মিলনায়তন (টিএসসি), আছে বইয়ের আকৃতি দিয়ে মনোরম মূল ফটক এবং মহান মণীষিদের শিক্ষামূলক বাণী।
কলেজটির অধ্যক্ষ বাবুল আক্তার বলেন, ফলাফলের দিক থেকে উপজেলা পর্যায়ে কলেজটি ৯বার প্রথম এবং ১ বার জেলায় ১ম হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা পর্যায়ে ৩ বার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ এবং ৩ বার শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছে। তিনি আরো বলেন সম্পূর্ণ কলেজটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, কলেজটিতে ঝড়ে পড়া ও অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা নাই বললেই চলে। কারন শিক্ষার্থী অনুস্থিত থাকলে বাড়ি বাড়ি ভিজিট দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, গরীব ও মেধাবী শিক্ষর্থীদের বিনামূল্যে বই ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে। এজন্য কলেজটির সুনাম জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
##
১৯/০৬/২২