আরাফাত রহমান কোকোর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী কবরে বিএনপির পুস্পমাল্য অর্পন

আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
0

আরাফাত রহমান কোকোর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানীতে তার কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।

সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ফাতেহা পাঠ করে কবরে পুস্পমাল্য অপর্ণ করে শ্রদ্ধা করা জানায়। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতা-কর্মীরা।

এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, তাবিথ আউয়াল মহানগর দক্ষিনের নবী উল্লাহ নবী, যুব দলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘ আরাফাত রহমান কোকো একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি নিজে রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাকে যে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে সেই মৃত্যুবরণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই সবচেয়ে বড় কারণ হয়েছিলো।”

‘‘ এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলংকময় ১/১১ ‘র ঘটনার পরে আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার করা হয় মিথ্যা মামলায়, মিথ্যা অজুহাতে, পরে তাকে নির্বাসিত করা হয়।আমরা দেখেছি যে, করুন অবস্থায় তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, বিদেশের মাটিতে ভালো চিকিতসা না পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে। আমরা দেখেছি যে, লক্ষ লক্ষ মানুষ তার জানাজায় শরিক হতে রাজপথে নেমে এসেছিলো।আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।মহান করুনাময় আল্লাহ‘তালার কাছে এই দোয়া করছি তিনি যেন তাকে বেহেস্তে নসিব করেন।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আরাফাত রহমান কোকো একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।তিনি নিজে খেলাধুলা করতেন এবং খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট আজকে যে জায়গায় এসেছে এর প্রধান নায়ক ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। তিনি ক্রিকেটকে সংগঠিত করবার জন্য, প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, মাননোন্নয়ন করবার জন্য, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য তিনি তার অবদান রেখেছে। তিনি এদেশে একজন ক্রীড়ামোদী হিসেবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে এদেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন।”

২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান কোকো। মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৫ বছর।

১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে জরুরী অবস্থার সময়ে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালে উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিতসার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি। সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় যান।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে দুপুরে এবং বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হবে।

সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে মিলাদ মাহফিলে ও দোয়া অনুষ্ঠান করছে।