আ ন ম শামসুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে: অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
0

অঞ্চল পরিচালক বৈঠক অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান। তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আ ন ম শামসুল ইসলামকে প্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে কারাগারে বন্দি রেখেছে।

তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত অঞ্চল পরিচালক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, কবির আহমদ প্রমুখ। এতে অঞ্চল পরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, আ ন ম শামসুল ইসলাম সরকারের জুলুমের শিকার। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ৯০ টি মামলা দায়ের করেছে। এসব ঠুনকো মামলায় তিনি জামিন প্রাপ্ত হলে সরকারের ইশারায় তাকে বারবার জেলগেটে আটকে দেওয়া হয়েছে। যা অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ। আ ন ম শামসুল ইসলাম দেশের একজন সজ্জ্বন রাজনীতিবিদ। তিনি আজীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে তিনি তার কণ্ঠ সব সময় উচ্চকিত করেছেন। এমন একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদকে সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ৯০টির অধিক মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি রেখেছে। এসব ঠুনকো মামলায় তিনি জামিন পাওয়ার দাবিদার হলেও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বয়সের কারণে তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানাবিধ রোগে অসুস্থ। অথচ এ সময়ে তাকে কারাগারে ডিভিশন না দিয়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে প্রেরণ করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, অবিলম্বে সকল মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সকল রাজনীতিবিদদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষরা নিদারুণ কষ্টে আছে। আজ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। খেটে খাওয়া শ্রমিকরা আজ দুবেলা ঠিক মতো খেতে পারছে না। টিসিবি ট্রাকে স্বল্প মূল্যের পণ্য দেওয়ার নামে গরিব মানুষদের অতি নিম্মমানের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা শ্রমিকদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মহীন শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।