আ.লীগ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সামবেশ করছে, বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে

আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
0

সরকার হটানোর ‘যুগপত আন্দোলনে জনগনের আস্থা বেড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালযে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিঙে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ যুগপত আন্দোলনে অবশ্যই মানুষের মধ্যে একটা আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এই দাবির (১০ দফা দাবি) সাথে একমত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যে তারা লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন।”

‘‘ এটা(যুগপত আন্দোলন) নিসন্দেহে অনেক বড় মাত্রা যুক্ত করেছে এবং জনগনকে আশ্বস্ত করেছে।”

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘‘ আমরা আগামী দিনে আন্দোলনকে কিভাবে আরো গতিশীল করার যায় তা নিয়ে বিএনপির সাথে কথা বলেছি এবং একটি স্থির সিদ্ধান্ত দিকে অগ্রসর হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের কথা আমি বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলতে চাই যে, সারাদেশে এই ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী, এই অগণতান্ত্রিক সরকা্র বিরোধী সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করাই আজকে আমাদের মূল লক্ষ্য। এ টু জেড সমস্ত সরকার বিরোধী শক্তি আজ মনে মনে, অন্তরে অন্তরে সংকল্পবদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ।”

‘‘ আপনারা জানেন, আগামী ৪ তারিখে জোটের পক্ষ থেকে যে যুগপত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সেদিন আমরা ঘোষণা করতে চাই আরো বৃহত্তর কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি সার্থক করা, বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”

সরকার পতনে যুগপত আন্দোলনে যুক্ত থাকা গণতন্ত্র মঞ্চের পর রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে এই বৈঠক হয়। এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

লিয়াজোঁ কমিটির এই বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এলডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের তফাজ্জ্বল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু ছিলেন।