আজ বাঙালিদের চেতনা এবং ঐক্যের প্রতিক বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী। এই দিবসটি পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আজ ২৫ মে, ২০২১ সকাল ১০: ০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ৫ম তলায়, ঢাকা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।
বক্তব্য রাখেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ. জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, বরিশাল বিভাগ সমিতির য্গ্মু সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, সদস্য নকিব হক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী সরদার ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির ভাষনে এম এ জলিল বলেন, ইংরেজ শাসন শোষণের আমলে ১৮৯৯ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। তার জন্মের পরই যখন তিনি মোটামুটি বুদ্ধির সঞ্চয় করেছিলেন, তখনই তিনি ইংরেজদের শাসন শোষন নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছেন।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বপ্ন সাধ ছিল বাঙালিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে, সেই দেশটি হবে মানবিক। কিন্তু ১৯৪৭ সালে ১৪ আগস্ট পূর্ববাংলাকে নিয়ে যে দেশটি জন্ম হয়েছিল পাকিস্তান সেই দেশটি হয়েছিল সাম্প্রদায়িক শোষণ শাসন নির্যাতনের দেশ।
কিন্তু সেই শোষণ শাসন নির্যাতন সাম্প্রদায়িকতা থেকে পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই স্বাধীন দেশে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে পশ্চিম বাংলার ক্যালকাটা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আনেন এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করেন। কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাঙালিদের ঐক্যের প্রতিক
সেই ঐক্যকে ধারণ করেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে কবি অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্রের সবার বাসউপযোগী বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৭১ ও ৭৫ সনের ঘাতকরা তা হতে দেন নি। তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিলেন ও কবির আদর্শকে নিশ্চিন্ন করে এই দেশকে সাম্প্রদায়িক শোষণ নির্যাতন নিপীড়িনের দেশ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে ছিলেন ঘাতক মোস্তাক জিয়া।
তাদের এই অনুসারী আজকের বিএনপি জামাত হেফাজত। আসুন আমরা সবাই যেভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬৯, ৭০ ও ৭১ সনে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেই ঐক্যবদ্ধ জাতিই পারে হেফাজত জামাত বিএনপিকে চিরতরে নিশ্চিন্ন করে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়তে। তবেই স্বার্থক হবে আজকের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভা।