ডেস্ক রিপোর্ট:
দীর্ঘ টালবাহানার পর ইউক্রেনকে ১৪টি লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে জার্মানি।
জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনকে দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ইউরো মূল্যের যুদ্ধাস্ত্র দিয়েছে জার্মানি। তবে তাদের ভারী অস্ত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে বরাবরই সময় নিয়েছে জার্মানি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেন জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যুদ্ধের ট্যাঙ্ক চাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, জার্মানি তা দেবে না। অবশেষে জার্মানি জানিয়েছে, তারা ১৪টি অত্যাধুনিক লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে পাঠাবে।
বার্লিন ও ইউরোপ ইউক্রেনকে নানা পদ্ধতিতে সাহায্য করে। নিজেদের দেশে যে অস্ত্রসম্ভার আছে, সেখান থেকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা সবচেয়ে সহজ কাজ। যুদ্ধের শুরু থেকেই মজুত অস্ত্র ইউক্রেনকে দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ৩০০টি লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে দিয়েছে বার্লিন।
জার্মানি ইউক্রেনকে যে অস্ত্র দিয়েছে, তার একটি তালিকাস রকারি পর্যায়ে প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পাঁচটি মার্স, দুটি রকেট লঞ্চার ও তার সাথে পর্যাপ্ত গোলাগুলি এবং রকেট ইউক্রেনকে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আছে ১৪টি সেল্ফ প্রপেল্ড হাউইৎজার, ২২ মিলিয়ন রাউন্ড গুলি এবং ১৪ হাজার স্লিপিংব্যাগ।
ইউরোপে জার্মানির অস্ত্র ব্যবসা সবচেয়ে বড়। গতবছর জার্মানি কেবল নিজের নিরাপত্তার খাতে দুই বিলিয়ন ইউরো অতিরিক্ত খরচ করেছে। এই অর্থে নতুন সামরিক অস্ত্র এবং সামগ্রী তৈরির অর্ডার দেয়া হয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে। পরে সেই জিনিস কিয়েভে পাঠানো হয়েছে।
এবছর দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ইউরোর ফান্ড ঘোষণা করা হয়েছে সামরিক খাতে। প্রচুর নতুন যুদ্ধসামগ্রী কেনা হচ্ছে এই অর্থ দিয়ে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১০৭টি সীমান্ত পাহারা দেয়ার বিশেষ গাড়ি রয়েছে।
