ইউপি সদস্য কবিরের দাপট : আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমির মাটি কাটার অভিযোগ

আপডেট: জুন ৩, ২০২৩
0

বরগুনা প্রতিনিধি :

বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের মধ্যে আমতলীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন ওরফে ইন কবির জোমাদ্দারের মদদে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার সকালে একদল নারী-পুরুষ প্রতিপক্ষ সাহেব আলী গংদের মালিকানা জমির মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়া যায়। আর আদালতের এমন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এলাকায় নানান কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা থানা পুলিশের সহয়তা চাইলে তারা কাজের ব্যবস্থতা দেখিয়ে মাটির কাজ শেষে সরেজমিনে গিয়েছেন বলেও জানা যায়। এর আগে থানা পুলিশ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় নোটিশ জারি করলেও প্রতিপক্ষ মিলন বয়াতি গংরা কোন কর্নপাত না করেই খামখেয়ালি করে এ জমির মাটি কাটেছেন ।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ রটানো হচ্ছে, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নহে। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
জানা যায়, এর আগে এ প্রতিপক্ষরা অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এ জমির সীমানার শতবর্ষী গাছসহ প্রায় ৩২/৩৫ টি বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে বিক্রিও করছেন। অপরদিকে সেখানকার ভিটার জমিতেও জোর পূর্বক অবৈধ দখল করে রাস্তা নির্মানেরও করেন।
ভুক্তভোগী সাহেব আলী গাজি জানান, গত ৮ই মে তাদের পৈতৃর্ক ভিটার গাছ কেটে ও দুপুরে জমি দখল করে অবৈধ রাস্তা নির্মান করে। তারা আমার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি দেওয়ায় থানায় জিডি করে বাড়ি ফেরায় তাকে আবারও বেধরক মারধর করেন। এসময় তিনি আহত অবস্থায় সাবেব আলী বামনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। পরে তারা আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক এসব জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আহত সাহেব আলী জানান, মধ্যে আমতলী গ্রামের মকফের বয়াতির ছেলে মিলন বয়াতি, আ: রশিদের ছেলে নয়া মিয়া, মৃত আ: মজিদের ছেলে শামসু মিয়া,মৃত মোহাম্মাদ বয়াতির ছেলে মো: মোখলেছ, মৃত নুরুল হক খলিফার ছেলে জয়নাল আবেদী ও আবদুল মান্নান জোমাদ্দারের ছেলে কবির হোসেনের সহিত পূর্ব থেকে আমার জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে, এর ধারাবাহিকতায় গত ৮ ই মে ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার সময় আমার বাড়ির উঠানে বসিয়া উল্লেখিত বিবাধীগন অহেতুক আমি সাহেব আলী ও আইউব আলীর সাথে অহেতুক তর্ক-বিতর্ক করার এক পর্যায়ে অকথ্য ভাসায় গালি গালাজ করিয়া চলিয়া যাচ্ছেন এমনই সময় ঠিক আমার ভাই আইউব আলী প্রতি উত্তর করিলে উল্লেখিত সকল বিবাধীরা আমি ও আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুশি মারিয়া একখানা লাঠি দিয়ে শরীলের বিভিন্নস্থানে পিঠাইয়া ফুলা জখম করে ফেলে রেখে যান। পক্ষান্তরে এসব বিবাধীরাই পূনরায় আমাদেরকে বিভিন্ন নানান ধরনের ভয়-ভীতিসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় আমার আত্মচিৎকারে ঘরের লোক এসে আমাদের( সাহেব আলী গাজি গং) উদ্ধার করে বামনা হাসপাতালে চিকিৎসা করান। আমরা এহেন অবৈধ দখল বাজ গাছ কেটে ও ( বাড়ির ব্যক্তি রাস্তা তৈরি ) দখলবাজদের বিচার ও আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই খলিলুর রহমান জানান, মাটি কাটাছে এমন অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সততা পেয়েছি। নিষেধাজ্ঞা জারির পরের কেন মাটি কেটেছে এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়ে আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।