ইউরোপীয় বিএনপি তারেক রহমানের কারাবন্দি দিবস পালন করেছে

আপডেট: মার্চ ৮, ২০২১
0

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমানের নেতৃত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে ইউরোপীয় বিএনপি ভার্চুয়াল যোগাযোগ মাধ্যমে।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন,১/১১ এর সরকার দেশে বিরাজনীতিকরণের জন্য এসেছিল। দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা ও মাইনাস টুয়ের নামে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তারা সেই ধারাবাহিকতার সরকার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। মানুষের অধিকার হরণ করছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করছে এবং দেশকে একটা অন্ধকার গহ্বরে ফেলে দিয়েছে।এর ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।

তারেক রহমানকে এক এগারোর সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে জেলে নিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। আর বর্তমান সরকার সেইসব সাজানো মামলায় তাকে হয়রানি করছে।শহীদ জিয়ার আদর্শের ধারক ও বাহক তারেক রহমান। যিনি পিতার মতো স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান ও বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন। তিনি দেশ থেকে নেয়ার জন্য নয় দেয়ার জন্য রাজনীতি করেন।

আজকে গণতন্ত্রেও জন্য বাংলাদেশে তার উপস্থিতি একান্ত কাম্য। তার জন্য দেশের কোটি কোটি হাত আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন।সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান বলেন আজকে বর্তমান বাংলাদেশ বিনির্মাণের পেছনে সকল কাজে ছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। যিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক। যার মৃত্যুর পর এতবড় জানাজা মুসলিম বিশ্বে হয়নি। সেই সফল রাষ্ট্রনায়কের উত্তরসূরী তারেক রহমান। জিয়ার শাহাদাতের পর দেশে গণতন্ত্রের পতাকা তুলে ধরেছেন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারই উত্তরসূরী তারেক রহমান। শহীদ জিয়ার আদর্শ দেশের মানুষের হৃদয়ে প্রোথিত। ফলে শত জুলুম-নিপীড়নেও বিএনপিকে দমানো যাবে না। তারেক রহমান শুধু রক্ত নয়, আদর্শেরও উত্তরসূরী।

তিনি বলেন, আজ তারেক রহমান কেন দেশের বাইরে? খালেদা জিয়া কেন কারাগারে? শহীদ জিয়া কেন অকালে আততায়ীর হাতে শহীদ হলেন? বিএনপির ওপর কেন হামলা-মামলা, গুম? এসব কিন্তু একই সূত্রে গাঁথা। কারণ শহীদ জিয়া বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি মানুষকে বুঝিয়েছিলেন আমাদের কোনো শত্রু নেই। সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ কারণে জিয়াউর রহমানকে শহীদ করা হলো। অনেকেই ভেবেছিল তাকে হত্যা করে জাতীয়তাবাদী শক্তি শেষ হবে। কিন্তু সেটি ভুল প্রমাণিত করেছেন খালেদা জিয়া। আজকে সেকারণে খালেদা জিয়াও টার্গেট। তাকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দিয়ে কারাবন্দী করা হয়েছে। আজকে তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। কারণ সে শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার উত্তরসূরী এবং আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার ওপরও চলছে নির্যাতন। আজকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

৭ই মার্চ রবিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমানের সভাপতিত্ব ও সুইডেন বিএনপির উপদেষ্টা মহিউদ্দিন জিন্টুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন অনলাইন এক্টিভিষ্ট জিয়াউর রহমান পলাশ সরদারসহ ইউরোপ সহ বহির্বিশ্ব বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।