ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র‍্যাংকিং এ অচিরেই ডাবল-ডিজিটে নেমে আসবে বাংলাদেশ: ডিএসসিসি মেয়র তাপস

আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২১
0

ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র‍্যাংকিং এ বাংলাদেশ অচিরেই ডাবল-ডিজিটে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর সম্মেলন কক্ষে বিডা’র ওয়ান স্টপ সার্ভিসে ডিএসসিসির ট্রেড লাইসেন্স সেবা সংযুক্তকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “একজন বিনিয়োগকারীর প্রথম যে প্রতিবন্ধকতা থাকে আমরা সেটাই মুক্ত করে দিচ্ছি। সুতরাং প্রথম প্রতিবন্ধকতা মুক্ত করে দিলে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস আরও সহজ হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে ইজ অব ডুইং বিজনেস র‍্যাংকিং আমরা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি এবং অচিরেই আমরা এই ডাবল-ডিজিটে অর্থাৎ ১০০ এর নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হবো।”

ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যবসার অনুমতি ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর আওতায় আনার মাধ্যমে আমরা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র‍্যাংকিং এ বাংলাদেশ অনেক ধাপ এগিয়ে যেতে পারব বলে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আশাবাদ ব্যক্ত করন।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমাদের পার্শ্ববর্তী অন্যান্য যেসব দেশের সাথে আমরা ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় রয়েছি, বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রাপ্তির প্রতিযোগিতায় রয়েছি, আমরা আশাবাদী যে, এ কার্যক্রমের ফলে আমরা তাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারব। বিশেষ করে – ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো যেসব দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের হার এখনো আমাদের চাইতে বেশি রয়েছে, এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা মুক্ত করে অচিরেই আমরা সেসব দেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারব।”

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, “এই সেবা ইন্টিগ্রেশন এর মাধ্যমে আমরা ট্রেড লাইসেন্স সেবাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারব। সেবা প্রার্থীদের অযথা হয়রানিতে পড়তে হবে না, জটিলতা মুক্ত স্বচ্ছ ট্রেড লাইসেন্স ব্যাবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারব। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও সকল বিনিয়োগকারী উপকৃত হবে এবং আমাদের স্বচ্ছতা হবে।”

এখন থেকে ট্রেড লাইসেন্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, “ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যবসার অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় ছিল বলেই আবেদনের সংখ্যা অনেক কম ছিল। এখন যেহেতু এই পুরো ব্যাবস্থাপনাকে অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে, এখন বিনিয়োগকারীদের আবেদনের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে।”

পৃথিবীর অনেক দেশ করোনার থাবায় তাদের ক্রেডিট রেটিং হারালেও বাংলাদেশ ক্রেডিট রেটিং ধরে রেখেছে, বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং স্থিতিশীল রয়েছে বলে ডিএসসিসি মেয়র মন্তব্য করেন।

বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডিএসসিসির সাথে আজ যে ট্রেড লাইসেন্স সেবা ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে এর মাধ্যমে আমাদের অংশীজনেরা যেন সুফল পায়, সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।