ইলিয়াস আলীর পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান : রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের জন্য এ দেশের কোন মানুষ নিরাপদ নয় — মীর্জা ফখরুল

আপডেট: মে ১৩, ২০২১
0

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘নো বড়ি সেভ ইন দিস কান্ট্রি। এদেশে কেউ নিরাপদ নয়। এখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এমন পর্যায় চলে গেছে যে সেখানে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা এটা একেবারে…, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের তো বটেই সাধারণ মানুষ কিন্তু আপনার জীবন বিপর্য্স্ত হয়ে পড়েছে।”

বুধবার দুপুরে নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর পরিবারের সাথে কথা বলার পরে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। ঈদ উপলক্ষে ইলিয়াস আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে দুপুরে বনানীর বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। তিনি ইলিয়াসের সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনা, দুই ছেলে আবরার ইলিয়াস ও লাবিদ সারার সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
মহাসচিব দলের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহারও তাদের হাতে তুলে দেন।

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে একেবারেই অচেনা-অজানা যে রাজনৈতিক দলটি দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে গণতন্ত্রের জন্য,মানুষের অধিকারের জন্য সেই দলটির হাতেই গত এক যুগ ধরে এদেশের মানুষ যেভাবে অত্যাচারি-নির্যাতিত হচ্ছে-এটা ধারণার বাইরে।
সারাদেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে।”

‘‘আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন এই যে, এখানে ঢুকার আগে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ জন গোয়েন্দা বাহিনীর লোক দাঁড়িয়ে আছে, কমপক্ষে এবং তাদের কাজটাই হচ্ছে যে, এভাবে গোটা বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা। এই করে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে আমরা বড়াই করি, কথা বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলি এই স্বাধীনতার চেতনার পরিণতি কি এটা? এই পরিণতি হয়েছে।”

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ইলিয়াস আলীর গুমের ৯ বছর পার হয়ে গেছে। আমরা কিছুদিন আগে তার গুম দিবসও পালন করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অত্যাচার-নির্যাতন-ত্রাস সৃষ্টি করবার যে একটা আতিয়ার সৃষ্টি করবার এই্ যে নতুন একটি ফেনোমেনা চৌধুরী আলম ও ইলিয়াস আলীর ঘটনা দিয়ে শুরু হলো। তারও আগে ১৯৭৫ সালে সেই সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তারা কিন্তু এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আগে অনেক রাজনৈতিক কর্মী ও সমাজ কর্মী গুম হয়ে গেছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘এই যে ইলিয়াসের দুই ছেলে একজন ব্যারিস্টার হয়েছে। ইলিয়াস যখন নিখোঁজ হয়ে যায় তখন ওরা দুই ছেলে ছোট, মেয়েটা ছোট ছিলো। ওদের মা.. এরা জানে না ওরা কি করবে? বাবার জন্য কী কোনো কুলখানি করবে, কোনো কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে দোয়া করবে। তারা তো জানে না বাবা কোথায়?”

দুই ছেলে ও এক মেয়ে সাইয়ারা নাওয়ালকে নিয়ে বনানীর বাসায় থাকেন ইলিয়াসের সহধর্মিনী দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহমিনা রুশদীর লুনা।