ইসলামের শত্রুদের জন্য দোয়ায়ে কুনুতে নাজেলা পাঠ করতে বললেন হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এক ভিডিও বার্তায় আজ ১৯শে এপ্রিল সরকার-প্রশাসনের প্রতি সতর্কবার্তা ও সংকটময় পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের করণীয় নিয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি ।
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হেফাজত কোনো দলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বা কোনো দলকে ক্ষমতায় নিতে কাজ করছে না। তিনি অবিলম্বে ধরপাকড়-হয়রানি বন্ধ করে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা জ্বালাও-পোড়াও করবেন না। সংঘাতে জড়াবেন না। ধৈর্য্য ধারণ করুন।
প্রায় ২০ মিনিট ধরে দেয়া বক্তব্যে হেফাজত আমির আরো বলেন, ২০১৩ সালের মামলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ৮/৯ বছর আগের সাজানো ডাহা মিথ্যা মামলায় ধড়পাকড় করা হচ্ছে। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে ধরপাকড়-হয়রানি বন্ধ করে আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান।
হেফাজত আমির আরো বলেন, ২৬ মার্চ হেফাজেতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারি মাদরাসায় ছিলাম না। এদিন বায়তুল মোকাররমে ক্যাডাররা মসজিদের ভিতরে ঢুকে মুসল্লিদের মারধর করেছে। এরপর হাটহাজারি এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়ায়ও কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমরা দুঃখিত।
তিনি বলেন, হেফাজত শান্তি চায়। কোনো সংঘাত-বিশৃংখলা চায় না।
হেফাজত কোনো দলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বা কোনো দলকে ক্ষমতায় নিতে কাজ করছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটা ডাহা মিথ্যাচার। সরকারকে বলবো গুজবে কান দেবেন না।
পবিত্র রমজান মাসে সরকার আলেম, হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, নেতাকর্মীরা ইফতার, তারাবি নামাজ এবং সেহেরি খেতে গেলে আটক করা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা কেউ ঘরে থাকতে পারছে না। সারা দিন-রাত বাইরে ঘুরে ঘুরে ইফতার, সেহেরি খেতে এলে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমনকি তারারির নামাজ পড়ার সময়ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। হাটহাজারি মাদরাসার আশেপাশের কোনো লোক বাসায় থাকতে পারছে না। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এটা বন্ধ করুন।
