উইঘুর নির্যাতন নিয়ে ৪৭ দেশের উদ্বেগ

আপডেট: জুন ১৬, ২০২২
0

চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বের ৪৭টি দেশ। পাশাপাশি দেশগুলো জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের কাছে অবিলম্বে উইঘুর নির্যাতনের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের ডাচ রাষ্ট্রদূত পল বেকারস ৪৭টি দেশের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দশ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে আটক করা হয়েছে।’

পল বেকারস জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে বলেছেন, ‘আমরা উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। সেখানে ব্যাপক নজরদারি ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্যের খবর আমরা নিয়মিত পাচ্ছি।’

বেইজিং স্বীকার করেছে যে সেখানে ক্যাম্প রয়েছে। তবে তা চরমপন্থা মোকাবিলার জন্য রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, বৃত্তিমূলক দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে সেখানে।

যৌথ বিবৃতিতে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ, জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করা, শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে জোরপূর্বক পৃথকীকরণসহ বিভিন্ন নিপীড়ন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

পল বেকারস জাতিসংঘের দেশগুলোকে উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনারা জরুরি ভিত্তিতে এসব উদ্বেগ নিরসন করতে চীনের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করুন।’ তিনি মুসলিম উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে আটক বন্ধ করারও আহ্বান জানান।

এদিকে, কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, বিবৃতিদাতা ৪৭টি দেশ বেইজিংকে জাতিসংঘের তদন্তকারী এবং বিশেষজ্ঞদের জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি স্বাধীনভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য বাধাহীন প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

জিনজিয়াংয়ে বাধাহীন প্রবেশাধিকারের জন্য কয়েক মাস ধরে দাবি জানানোর পর গত মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট চীন সফর করেছেন। এ সফর ছিল দীর্ঘ ১৭ বছরের মধ্যে জাতিসংঘের কোনো মানবাধিকার প্রধানের প্রথম সফর।

উইঘুর সংক্রান্ত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার জন্য জেনেভায় ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। চাপের মুখে তিনি বলেছেন, তার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ আগস্ট। তার আগেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।