“এরকম নারীর সাথে ‘তালাক’ একটি সুসংবাদ!”

আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১
0

স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিলের কাছ থেকে পাওয়া তালাকের নোটিশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সংগীত শিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল বলেছেন, “এরকম নারীর সাথে ‘তালাক’ একটি সুসংবাদ!”

বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ফেরিভাইড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এ কথা লিখেছেন তিনি। পরে আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, শেষ পর্যন্ত আমারে মেরে ফেলার প্ল্যান ব্যার্থ হলো! তাই ডিভোর্স লেটার পাঠালেন এই ‘Con-Woman’!!

বিভিন্ন কারণে আলোচিত-সমালোচিত সংগীত শিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের সাথে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে হয় মেহরুবা সালসাবিলের। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি তাদের। দু’ছর পূর্ণ হওয়ার আগেই নোবেলকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। গত ১১ সেপ্টেম্বর তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন সালসাবিল। তবে এ পর্যন্ত বিষয়টি মিডিয়ায় আসেনি।

বুধবার দুপুরে হঠাৎ গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান মেহরুবা সালসাবিল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ, চরম মাদকাসক্ত, নারী-নেশাসহ আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত। সব কিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কারণে তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সালসাবিল আরো বলেন, ‘নোবেলের সাথে সংসার করা সম্ভব নয়। তাই তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি। এখন যদি সে স্বাক্ষর করে দেয় তাহলে ডিভোর্স হয়ে যাবে। আর সিগনেচার না করলে তিন মাস পর অটোমেটিক ডিভোর্স কার্যকর হবে।’

এ দিকে স্ত্রী সালসাবিল যখন গণমাধ্যমে এই তথ্য দিয়েছেন ঠিক তখনই নোবেল নিজের ফেসবুক পেজে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেন।
নিজের ফেসুবকে তিনি ইংরেজিতে লেখেন, ‘ডিভোর্সড’।
তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা।

পরে তিনি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি তালাকনামা পেয়েছি। কিন্তু স্বাক্ষর করিনি, করব না।
এটা তিন মাস পর নিজ থেকেই কার্যকর হবে।
বিষয়টি নিয়ে আমি মোটেও বিচলিত নই।’

অবস্থা দৃষ্টে অনেকেই ধারণা করছেন, মানসিকভাবে দু’জনেই বিচ্ছেদের পক্ষে অবস্থান দিয়েছেন।
তবে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচ্ছেদ কার্যকর হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, ভারতের ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শো থেকে পরিচিতি পেয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। খ্যাতি পাওয়ার পর বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছে তার নাম। দেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তন থেকে শুরু করে লিজেন্ড শিল্পীদের নিয়েও বিভিন্ন সময় আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তিনি। এবার তার দাম্পত্য জীবনেও অশান্তির বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হলো।