এ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৬ শতাংশ

আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১
0

চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বাংলাদেশের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, দেশের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে মালদ্বীপ ও ভারত।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের এবারের প্রতিবেদনের শিরোনাম হলো, ‘মহামারির সময় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার’।

আইএমএফ বলছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ছয় শতাংশ হতে পারে। অবশ্য আইএমএফ অর্থবছর ধরে নয়, পঞ্জিকাবর্ষ ধরে অর্থাৎ জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময় ধরে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। চলতি বছর বৈশ্বিক গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। গতবার তা মাইনাস ৩ দশমিক ১ শতাংশ ছিল। এবার দেখা যাক, দক্ষিণ এশিয়ায় কোন দেশে কত প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মালদ্বীপে সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ভারতে সাড়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এ ছাড়া পাকিস্তান ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপালে ১ দশমিক ৮ শতাংশ ও ভুটানে মাইনাস ১ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। তবে আফগানিস্তানের জন্য পূর্বাভাস দেয়নি আইএমএফ। এ ছাড়া বাংলাদেশ সম্পর্কে আইএমএফের পূর্বাভাসকে অবাস্তব মনে করেন না অর্থনীতিবিদরা।

তাঁদের মতে, এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমিয়ে দেয়। বড় বড় উন্নয়ন সহযোগীও এবার বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। ৭ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেছেন, বিশ্ব এক প্রলম্বিত অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে। মহামারি দীর্ঘ হওয়ার কারণে এই অনিশ্চয়তা দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে তাঁর মত। এই অনিশ্চয়তার জের আগামী বছরেও কিছুটা থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে তা কমে আসবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উন্নত অর্থনীতি ২০২২ সালের মধ্যে প্রাক-মহামারি পর্যায়ে ফিরে যাবে। এমনকি ২০২৪ সালের মধ্যে তা থেকে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ এগিয়ে যাবে। অথচ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি ২০২৪ সালেও প্রাক-মহামারি সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ পিছিয়ে থাকবে। ফলে এসব দেশের মানুষের জীবনমানও পিছিয়ে পড়বে।