ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলে গনতন্ত্র পূনরুদ্ধার করতে হবে — শওকত মাহমুদ

আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১
0

ময়মনসিংহে মতবিনিময় সভায় বক্তারা
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ছাড়া গণমাধ্যমের
স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

ময়মনসিংহে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা দেশে এখন মহাসংকট চলছে উল্লেখ করে বলেছেন, সাধারণ মানুষের কোনো বাক স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। রাতের ভোটের সরকার দেশে দুঃশাসন কায়েম করে রেখেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব নয়।
আজ শনিবার ময়মনসিংহের স্থানীয় একটি হোটেলে সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের (জেইউএম) বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেইউএম সভাপতি আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিকদের অবিসংবাদিত নেতা শওকত মাহমুদ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি মোতাহার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম। যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উল্লাহ মিয়াজী ও শফিউল আলম দোলন, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মির্জা সেলিম রেজা, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরে সভাপতি আইউব ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুমিল্লা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক আনসার হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক আতিউর রহমান এবং গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবিরের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, মত প্রকাশের অধিকার সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। এ অধিকার কেউ হরণ করতে পারেনা। অথচ বর্তমান সরকার নানা কালা-কানুন মাধ্যমে এ অধিকার হরণ করে রেখেছে। তিনি বলেন এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে কোন লাভ হবে না।

শওকত মাহমুদ বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, একজন প্রতিমন্ত্রী সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার দাবি জানানোর পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরকার মীমাংসিত বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে নেয়া অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, গণমাধ্যম এখন শৃংখল দিয়ে আটকানো। মামলা হামলা দিয়ে সাংবাদিকদের লেখনি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনা উদ্বৃতি দিয়ে আরও বলেন গত তিন মাসে ৮০ জন সাংবাদিক নিগৃহীত হয়েছেন। সরকারের রোষানলে পড়ে সাংবাদিক নেতা
রুহুল আমিন গাজী মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কালাকানুন বাতিল করা ছাড়া গণমাধ্যম মুক্তভাবে কাজ করতে পারবে না।

এর আগে একই স্থানে সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের (জেইউএম) বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেইউএম সভাপতি এম আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। সভা পরিচালনা করেন জেইউএম- এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের রিপোর্ট উপস্থাপন করা হলে তা সর্বসম্মত পাস হয়।

অনুষ্ঠানে বিএফইউজে সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, রাশিদুল ইসলাম, ওবায়দুর রহমান শাহীন, সহকারী মহাসচিব নাসির আল মামুন, শহীদুল্লাহ্ মিয়াজি, শফিউল আলম দোলন, সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলমসহ বিএফইউজে ও অঙ্গ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।