কক্সবাজারে গণধর্ষনের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় মহিলা পরিষদের ক্ষোভ : জড়িতদের শাস্তির দাবী

আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২১
0

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের তিনজন বখাটে কর্তৃক দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতেদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে ব্যবস্থাগ্রহণসহ দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতকরণে দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি প্রদান করেছে।

মহিলা পরিষদ বলেছে , আজ ২৫জুলাই বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের তিনজন বখাটে কর্তৃক দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায় যে, গত ২৩ জুলাই ২০২১ তারিখ শুক্রবার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের রাতে তিন বখাটে কর্তৃক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে অপমান সইতে না পেরে ২৪ জুলাই ২০২১ তারিখ শনিবার ভোরে নিজ বাড়িতে মাদ্রাসাছাত্রী বিষপান করে আত্মহত্যা করে।

বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় গত ২৩ জুলাই ২০২১ তারিখ শুক্রবার রাতে একই এলাকার মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও বাঁশখালী ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম মিলে বখাটে মিলে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে একটি মৎস্য ঘেরে নিয়ে ওনার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয় এবং ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে শনিবার ভোর রাতে বিষপান করে মাদ্রাসাছাত্রী আত্মহত্যা করে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতায় লক্ষ্য করছে যে- বর্তমানে বাসস্থান, রাস্তা-ঘাট, গণপরিবহণে নারীরা যৌন নিপীড়ন, ধর্র্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যাসহ নৃশংস নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী ও কন্যার নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।

মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে ব্যবস্থাগ্রহণসহ দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে। নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছে। সেইসাথে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।