কঠোর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে চরফ্যাশনে প্রত্যান্ত অঞ্চলে হাট বসেছে

আপডেট: জুলাই ৫, ২০২১
0
file photo

চরফ্যাশন(দক্ষিণ)প্রতিনিধি
কঠোর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট ও শশীভূষণে হাট বসেছে। সোমবার এমন চিত্র ফুটে উঠেছে।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দুলারহাট ও শশীভূষণ সদর বাজারে হাট বসেছে। হাটে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে।
সেখানে মানা হচ্ছে না কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি। সোমবার দিনব্যাপী চলা জেলার অন্যতম বৃহৎ এ হাটে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকেই হাজারেরও বেশি গরু-ছাগল উঠেছিল পশুরহাটে। এখানে গাদাগাদি করেই ক্রেতা-বিক্রেতার অবস্থান ছিল।
অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। ভিড় ছিল তরকারি, মাছ- মাংস ও হাসঁ, মুরগী বাজারগুলোতেও। জানতে চাইলে অধিকাংশরাই ক্রেতা-বিক্রেতা বলেন, কি আর করার সামনে ঈদ বাজারে গরু-ছাগল বিক্রি ও ক্রয়ের জন্য এসেছি।
আবুল হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, সারা বছর গরু লালন-পালন করেছি কোরবানের ঈদে বিক্রি করে বাড়তি আয়ের জন্য তাও যদি না পাড়ি তবে সংসার চলবে কি করে।
মোগো সংসার চলে কৃষিকাজ ও গরু-ছাগল লালন-পালন করে। আলী হোসেন নামের এক যুবকের সাথে কথা হয় তিনি জানান, সকাল থেকে বৃষ্টিও ছিল। দুপুরের পর বৃষ্টি কমলে হাটে গিয়ে দেখি ব্যাপক সমাগম। তা প্রায় ৪/৫ হাজারের মত মানুষ। তাই হাটে গিয়ে বাজার-সদাই করেছি।
তবে ভয় লেগেছে একটাই, আমাদের মুখে মাস্ক থাকলেও হাটে আসা প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। স্থানীয় বাজার একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, বাজারে বসানো কোরবানীর পশুরহাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ কোরবানীর পশু নিয়ে এ হাটে আসেন। হাটে আগত পশু ক্রেতা বা বিক্রেতাদের অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন বালাই ছিল না।
ফলে দোকানপাট বন্ধ থাকা বাজার এ ঘটনায় শশীভূষণ ও দুলারহাট বাজার ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেন।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। আজও দুলারহাট অভিযান পারিচালিত হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
আমির হোসেন
চরফ্যাশন(দক্ষিণ)প্রতিনিধি