করোনা কালীন লামা আলীকদম রোডের চান্দের গাড়ি গুলোর দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে

আপডেট: এপ্রিল ১১, ২০২১
0

করোনা কালীন লামা আলীকদম রোডের চান্দের গাড়ি গুলোর দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে।

বান্দরবান জেলা সংবাদদাতা:এই বছরের করোনা কালীন লকডাউনের শুরু থেকেই বান্দরবান জেলার লামা আলীকদম রোডের যাত্রীবাহী চান্দের গাড়ির (জ্বীপ, মাইক্রোবাস) দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। জানাযায় যে, এই রোডের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকার সুবাদে একচ্ছত্র রাজত্ব করে যাচ্ছে চান্দের গাড়ি। অথচ এগুলো ও এই এলাকার অন্যতম গণপরিবহন।

প্রশাসনের বিশেষ মহলকে ম্যানেজ করে গাড়িগুলো চলাচল করছে। সরকারি নির্দেশে দুই সিটে একজন যাত্রী নিলেও শতভাগের বেশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। সরকারি নির্দেশে ৬০শতাংশ অতিরিক্ত হারে লামার ভাড়া ১০০টাকা হলেও তারা আদায় করছে ১২০-১৫০টাকা।আলীকদমের ভাড়া আদায় করছে ১৫০-২০০টাকা। যেখানে মুলভাড়া লামা ৬০টাকা এবং আলীকদম ৭০টাকা।এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রীরা প্রতিবাদ করেও নিগৃহীত হচ্ছেন।

চান্দের গাড়ি গণপরিবহন হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন এই ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছেন।যাত্রী সাধারণ তাদের দৌরাত্ম্যের কারণে বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করতে পারছে না। সম্প্রতি চান্দের গাড়ির লাইনম্যান ওসমান এবং রুবেল ড্রাইভার মিলে এক মোটরসাইকেল চালককে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে লামার ইয়াংছা এলাকায় মোটরসাইকেল চালকরা চান্দের গাড়ি আটকে ড্রাইভার রুবেলকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
এই রোডের যাত্রী সাধারণের দাবি সরকার নির্ধারিত ভাড়া এবং করোনা কালীন স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চান্দের গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হোক।