কাল মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী : আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহ্ফিল কর্মসূচি গ্রহণ

আপডেট: মার্চ ২০, ২০২১
0

মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের কাল রোববার ২১ মার্চ ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী ।
মৃত্যূবার্ষিকী পালন করতে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। সকাল ৯ টার সময় ফরিদপুর জেলা ও নগরকান্দা থানা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধারা মরহুমের মাজার জিয়ারত করবেন। মরহুমের মাজার প্রাঙ্গণে সারাদিন কুরআন তেলাওয়াত এবং বাদ আসর আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র অন্যতম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আওয়ামী-লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, মরহুম জননেতা কে এম ওবায়দুর রহমান ১৯৪০ সালের ৫ই মে ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত নগরকান্দা থানাধীন লস্করদিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম খন্দকার আতিকুর রহমান এবং মাতা রাবেয়া বেগম। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে নগরকান্দা হাইস্কুল থেকে কৃতিত্ব সহকারে মেট্রিক পাশ করে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হন।

রাজেন্দ্র কলেজে তিঁনি ছাত্র জীবনে কলেজ ছাত্র সংসদ এর ভিপি নির্বাচিত হন এবং ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় একবার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দুইবার ছাত্রলীগের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২-৬৩ শিক্ষা বর্ষে তিঁনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ঢাকসু)’র জি এস, নির্বাচিত হন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুাথানে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিঁনি তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা বর্তমান নগরকান্দা, সালথা ও কৃষ্ণপুর থেকে এমপি, নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় এমপি নির্বাচিত হয়ে তৎকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী’র দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে যোগদান ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করার ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন এবং তৎকালীন সরকারের মৎস ও পশু পালন মন্ত্রণালয় সহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জীবনে তিঁনি পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি’র মহাসচিব নিযুক্ত হন এবং মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তাঁর একমাত্র কন্যা শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন এবং বর্তমানে তিনি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।