কাল সোমবার থেকে ১৪ দিন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ ঘোষনা

আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২১
0
file photo

কাল সোমবার থেকে ১৪ দিন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ ঘোষনা সরকার। বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের করোনা বিশেষজ্ঞ জাতীয় কমিটির পরামর্শের প্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল ভারতের সঙ্গে ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধের দাবিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ও ভারতের পশ্চিম বাংলায় করোনাভাইরাসের ট্রিপল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট B.1.168 (বেঙ্গল স্ট্রেইন) আবির্ভাব ঘটার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ। মারাত্মক সংক্রমক এই বেঙ্গল স্ট্রেইনের বাংলাদেশে প্রবেশ প্রতিরোধ লক্ষ্যে ভারত থেকে আগমন ও প্রস্থান বাতিল করতে আগামী ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ আহবায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা হারুন অর রশিদ,জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা রওশন আরা, জনস্বাস্থ্যসেবা সংগঠক অনুপ কুণ্ডু ও সামিউল আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রথম থেকেই জনগণকে সম্পৃক্ত করার নীতি গ্রহণ না করে শেখ হাসিনা সরকার আমলা নির্ভর ভ্রান্ত নীতি গ্রহণ করায় দেশের জনস্বাস্থ্য আজ এক হুমকির মুখে পড়েছে।কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ না হয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ বিস্তার স্থায়ী হতে চলেছে।

বিবৃতিতে এশিয়ায় ভারত, কোরিয়া, ইরান প্রভৃতি দেশ করোনা ভ্যাক্সিন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশে করোনা ভ্যাক্সিন উৎপাদনে যেমন সরকারি মহলের কোনো আগ্রহ ছিল না, তেমনি দেশের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন আমদানিতে সঠিক বাস্তবানুগ পরিকল্পনা ছিল না।সরকার শুধুমাত্র ভারতের সিরাম ইনিস্টিউটের তৈরি করা অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনিকা ভ্যাক্সিন আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তা সরাসরি সরকারিভাবে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত না নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর মাধ্যমে ক্রয়ের ব্যবস্থা করেছিল।এখন ভারতের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ায় বাংলাদেশের ভ্যাকসিন প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।