কিভাবে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানী করছে তা দেখভালের সময় এসেছে — নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন

আপডেট: মে ২৯, ২০২১
0

সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ব্রান্ডগুলো, ইউনিয়ন এবং স্থানীয় প্রস্তুতকারকরা এর বিকল্প একটি চুক্তির জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবাই বলতে চান যে, বছরে বাংলাদেশ যে ৩৪০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে তা কিভাবে দেখভাল করা হবে।

২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে কমপক্ষে ১১০০ শ্রমিক নিহত হওয়ার পর গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিপর্যয়ের এক বিশ্বব্যাপী পোস্টার হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সেখান থেকে সংস্কারের এক সফলতার কাহিনী গড়ে ওঠে। ২০১৩ সালে ইউরোপিয়ান খুচরা ক্রেতা ইন্ডিটেক্স, এইচঅ্যান্ডএম, প্রাইমার্ক, বাংলাদেশের শ্রমিক ইউনিয়ন এবং কারখানা মালিকরা ঐতিহাসিক দ্য একর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

এই চুক্তি বৈশ্বিক তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আইনগত বাধ্যতামূলক চুক্তি। এরপর প্রথমবারের মতো কমপক্ষে ২০০ আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের জন্য যেসব কারখানায় তাদের পোশাক প্রস্তুত হয়, সেখানে নিরপেক্ষভাবে কারখানাগুলো পরিদর্শনে সম্মত হয় তারা।

একই সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং কিছু কারখানার উন্নয়নে অর্থায়নে সহায়তা করে। কোনো কোম্পানি যদি কোনো শর্ত লঙ্ঘন করে তাদেরকে জরিমানা অথবা এই গ্রুপ থেকে বহিষ্কারের বিধান রাখা হয়। দ্বিতীয়ত, এর চেয়ে একটু শিথিল চুক্তি দ্য অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটিতে স্বাক্ষর করে ওয়ালমার্ট, গ্যাপ এবং টার্গেট-এর মতো মার্কিন কোম্পানিগুলো এবং এই চুক্তি একই বছর সচল হয়।

কিন্তু এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। এ অবস্থায় সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে কঠোরভাবে অর্জিত এই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। অনলাইন নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত দীর্ঘ এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।