কিশোরী নয় ১৯ বছরের যুবতী :বিয়ে করে আমি কোন অপরাধ করিনি—চেয়ারম্যান শাহীন ( দেখুন- ভিডিও)

আপডেট: জুন ৩০, ২০২১
0

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিয়ে করে কোনো অপরাধ করিনি। আর যখন আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে সংসার করতে চায়নি তখন তাকে দেশের প্রচলিত আইন ও ইসলামি শরীয়া অনুযায়ী তালাক দিয়েছি। এটাও কোনো অপরাধ নয়। অথচ একটি মহল আমাকে হেয় করার আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। একথা বলেছেন, পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়ার চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন ক্র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে শাহিন চেয়ারম্যান একথা বলেন।

তিনি বলেন, উক্ত তরুণী নাজনীন আক্তারের সাথে গত ১৮ মে বাউফলের নাজিরপুরের ফারুক আকনের ছেলে সোহেলের সাথে বিয়ে হয়। ২০ মে সে সোহেলকে তালাক দেয়। সোহেলকে তালাক দিয়ে সে আমাকে বিয়ে করে।

গত ২৪ জুন নাজনিন আক্তারকে রেজিষ্ট্রি করে আমি বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের পর আমি জানতে পারি পাশা নিবাসী রমাজান নামের একটি ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং এ বিয়ের কথা শুনে রমজান ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে আমি বিব্রত হয়ে নাজনিনকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে স্বীকার করে। পরে এ বিষয়ে করনীয় কি জানতে চাইলে নাজনিন তার প্রেমিকের কাছে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং আমাকে তালাক দিতে সম্মত হয়।
পরে ২৫ জুন আমাকে তালাক দিয়ে নাজনিন তার প্রেমিকের কাছে চলে যায়। যাওয়ার সময় তার চাচা, দাদা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি কেনো অপরাধ করিনি। তবে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে আমি নাজনিনকে নাকি জোর করে বিয়ে করেছি। যা সত্য নয়।

এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে সাংবাদিকবৃন্দকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি চাই মানুষ সত্যটা জানুক। এব্যাপারে আর কোন বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি। আমি সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।