জনজীবন অতিষ্ঠকারী কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম রোধে র্যাব-২ এর বিশেষ অভিযান রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৩ জন গ্রেফতার করেছে। এ সময় কিশোর গ্যাংদের দখল হতে ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রজব্দ করা হয়।
র্যাব-২ গোপন তথ্যর ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। প্রাপ্ত তথ্যেরভিত্তিতে উক্ত স্থান গুলোতে র্যাব-২ এরএকাধিকআভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, শেরেবাংলা নগর ও তেজগাঁও এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি কালে৪৩ জনবিভিন্ন গ্রুপের সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দলের সদস্যদের গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায় , গ্রেফতারকালে কিশোর গ্যাংদের দখল হতে ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রজব্দ করা হয়। আটকৃতদেরজিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে, তারাসংঘবদ্ধ কিশোরগ্যাং চক্রেরসদস্য। রাজধানীরবিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ছিনতাই ও ডাকাতি ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি ও স্থানীয় ভূমি দস্যুদের পক্ষে অপদখলীয় জমিতে গিয়ে পেশিশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া তারা নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে মারামারিসহ নানা সশস্ত্র সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধেরাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে র্যাব-২ এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে , সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায়লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই এবং চাঁদাবাজীর প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়। সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এছাড়াও একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় চলাচল কালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নারী, পুরুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী সহ নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়। এরই পরিপেক্ষিতে র্যাব-২ এই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে।