কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১
0

পূজামন্ডপে পবিত্র কুরআন রেখে সাম্প্রদায়িক উস্কানি যারা দিতে চায়, তারা দেশ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘীরপাড় এলাকার একটি মন্দিরের পূজামন্ডপের বেদিতে পবিত্র কুরআনুল কারিম রেখে দেশে শান্তিু শৃঙ্খলা বিনষ্ট ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র কুরআনুল কারিম দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। তাই দুর্বৃত্তরা পবিত্র কুরআন মন্দিরের পূজামন্ডপের বেদিতে রেখে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে। কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র কুরআনুল কারিম সকল মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন। তারা নিজের জীবনের থেকেও পবিত্র কুরআনুল কারিমকে বেশী ভালোবাসে। পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই পবিত্র কুরআনকে অবমাননার চেষ্টা করা হয়েছিল তখনই এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ তাদের সর্বোচ্চ উজাড় করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অসংখ্যবার রাজপথে এসে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছে। কুরআন অবমাননার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঘাতককের বুলেটের আঘাতে অনেক মর্দে মুমিন শাহাদাতের নজরনা পেশ করেছে। তবুও কুরআন অবমাননার কথা শুনে ঘরে বসে থাকেনি মুসলমানরা। তাই ষড়যন্ত্রকারীরা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ^াস ও অনুভূতিতে আঘাত দিতে কুরআন কে বারবার অবমাননার পথ বেছে নিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে আমরা মনে করি। তাদের এই চরম দৃষ্টতার কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র কুরআনুল কারিম আল্লাহ সকল ধর্মমতের মানুষের জন্য প্রেরণ করেছেন। কুরআনুল কারিমের উপযোগিতা কালোত্তীর্ণ এবং তা বিশেষ কোনো জাতি ও যুগের জন্য নির্দিষ্ট নয়। কুরআনের প্রতিটি আয়াত সব যুগের মানুষের কাছে সজীব, নতুন ও প্রাণবন্ত হয়ে বিরাজ করছে। তাই যুগে যুগে মানুষ কুরআনের দিকে ছুটে আসছে পঙ্গপালের মত। এমতাবস্থায় কুরআনের পথ থেকে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করতে সারাবিশে^ একটি গোষ্ঠী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা মনে করি কুমিল্লার এই ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতার অংশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে বহু ধর্মের মানুষ শান্তি-শৃঙ্খলার সহিত বসবাস করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠী মানুষে মানুষে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রতি বিনষ্ট করার জন্য যারা এই অপতৎপরতার সাথে জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। আমরা এই ঘটনায় আঘাত পাওয়া সকল মুসলমানদের শান্ত থাকার ও আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। পাড়ায় পাড়ায় সকল ধর্মের ভাইদের নিয়ে দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ করছি।