কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে লাভজনক ফসল চিনা চাষে আগ্রহ বাড়ছে

আপডেট: মে ১৯, ২০২১
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার এবং গঙ্গাধর নদীর চরাঞ্চলে আগ্রহ বাড়ছে চিনা চাষে। এক সময় কৃষকদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাওয়া এই ফসলটি নতুন করে আশা জাগিয়েছে চরাঞ্চলের কৃষকদের।

বিলুপ্তপ্রায় ফসলটির বর্তমানে কদর বেড়েছে। শিশুখাদ্য তৈরিতে চিনার ব্যাপক চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝুঁকছেন চিনা চাষে।
চাষীদের মতে কম খরচে উৎপাদন বেশি এই ফসল বাজারে চরামূল্যে বিক্রি হয়। অনেক সময় অগ্রিম বিক্রি হয়ে থাকে। ফলে বাজারজাতকরণে কোনো ঝুঁকি নেই কৃষকদের। কৃষকরা জানায় শহর থেকে পাইকার এসে বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যায় চিনা। মণ প্রতি চিনা বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ঢাকডহর, চৌদ্দকুড়ি, বেরুবাড়ি ইউনিয়নের চর বেরুবাড়ি, বল্লভের খাষ ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ, কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কুমদপুর, কচাকাটা ইউনিয়নের তরিহাটসহ কয়েকটি চরাঞ্চলে ১৬ হেক্টর জমিতে চিনা চাষ হয়েছে।

তরিরহাটের কৃষক আবু বক্কর জানান, এবার তিনি চার বিঘা জমিতে চিনা চাষ করেছেন।বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি চার থেকে পাচ মণ চিনা পাবেন তিনি। বর্তমান বাজার দরে মণপ্রতি ৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও জানান, চিনা চাষে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে তার।

নারায়ণপুর ইউনিয়নে ঢাকডহর চরের কৃষক মোতালেব জানান, এবার চিনার আবাদ ভালো হয়েছে আগাম বন্যার আশঙ্কা না থাকায় ভালোভাবে আবাদ ঘরে তুলতে পারবেন তিনি। এবার তিনগুণ লাভের প্রত্যাশা করছেন তিনি।

চিনা চাষীরা জানান, একসময় চিনা চালের বিকল্প হিসেবে গরিব লোকেরা ভাত রান্না করে খেত। এখন শিশুখাদ্যে অন্যতম উপাদান এবং বড়লোকের শখের পায়েশ হিসেবে কদর বেড়েছে। ফলে পুনরায় চাষ হচ্ছে এবং কৃষকরাও লাভবান হচ্ছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এবার উপজেলায় চিনার ফলন ভালো হয়েছে। হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ১ দশমিক ২ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ফসল চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আমরা চরাঞ্চলে চিনা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।
####/
আমিনুর রহমান বাবু