কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পুলিশকে জনতার ধাওয়া : থানায় মামলা

আপডেট: জুলাই ২৬, ২০২১
0

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটায় জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে বেঁচে গেছেন লকডাউন কার্যকরে দায়িত্ব পালন করা কচাকাটা থানা পুলিশের ২ সদস্য। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কচাকাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।এবিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করছে কচাকাটা থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলমান লকডাউন কার্যকরে রবিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কচাকাটা বাজারে দায়িত্ব পালন করছিলেন কচাকাটা থানার এ.এস.আই বুলবুল ইসলাম ও কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। এসময় যারা অযাথা ঘোরাফেরা ও জট পাকাচ্ছিলেন তাদেরকে বাড়ী ফিরতে এবং মাস্ক পরতে বলায় কিছু মানুষ উত্তেজিত হয়ে ধাওয়া করে দায়িত্বরত পুলিশকে। জনরোষ থেকে বাঁচতে কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে নিজ ভাড়া বাসার ভিতরে ঢোকেন এ.এস.আই বুলবুল ইসলাম ও পুলিশ কনষ্টেবল। উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে ওই বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে গেট ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে কচাকাটা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে থানায় নিয়ে যান পুলিশের দই সদস‍্যকে।
এ বিষয়ে এ.এস.আই বুলবুল বলেন, লকডাউনে হাট বাজারের বেঁধে দেয়া সময়ের পরেও কচাকাটা বাজারে মানুষজনকে বিভিন্ন স্থানে দলবদ্ধ হয়ে জটলা পাকাতে দেখি। তাদের জটলা না করে সরে যেতে এবং মাস্কবিহীন কিছু মানুষকে মাস্ক পরিধান করতে বলায় কয়েকজন আমার উপর চড়াও হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ওই এ.এস.আই অযাথাই জনতার উপর লাঠিচার্য করেছেন। এতেই মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এ ঘটনায় এস.আই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ার অপরাধে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২৬ জুলাই সোমবার সকাল ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা। এসময় তিনি স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন।
####
আমিনুর রহমান বাবু