কুড়িগ্রামে ধরলা দুধকুমার সহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি : বন্যার আশঙ্কা

আপডেট: জুলাই ৪, ২০২১
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামে টানা ৫ দিনের ভারি বুষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ী ঢলে ধরলা, তিস্তা, ব্রম্মপূত্র ও দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে দুধকুমার নদের পানি (নুন খাওয়া পয়েন্টে) ২৫.৯৮ সে:মি: ধরলা নদীর পানি ২৫.০৭ তিস্তায় ২৭.৮৪ ও ব্রম্মপূত্র নদীর পানি ২২.৮১ সে: মি: বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ধরলা তিস্তা ও ব্রম্মপূত্র নদীর পানি ব‍্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।, দুধকুমার কালজানী ও গদাধর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকের ছড়া চরভূরুঙ্গামারী, তিলাই, বঙ্গ সোনাহাট, বলদিয়া, ভূরুঙ্গামারী সদর ও আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।এতে কয়েকহাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কুড়িগ্রামে স্বল্প মেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
কুড়িগ্রামের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় জানান, গতকাল শনিবার ০৩ জুলাই থেকে ৪ঠা জুলাই সকাল ৬ পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় জেলা জুড়ে ২৮.০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।মধ‍্য জুলাই পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ওকোন সময়ে ভারি বৃষ্টিপিপাতের সম্ভবনা রয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ণ কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, বন্যার আগাম পূর্বাভাসে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোভিড ও বন্যা মোকাবিলায় এ উপজেলায় ৩৮ মে:টন চাল ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রের তালিকা তৈরী করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলার বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন বন্যা মোকাবেলায় আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বন‍্যা পরিস্হিতি পর্যবেক্ষন করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জন প্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন এ সপ্তাহের শেষের দিকে ব্রম্মপূত্রের পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে।
####/
আমিনুর রহমান বাবু
০৪-০৭-২১