কুড়িগ্রামে বাপ্পী হত্যার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

আপডেট: মে ৩১, ২০২২
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি,
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের জলিল বিড়ি ফ্যাক্টরিত মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি (২২) নামের এক যুবককে হত্যার প্রতিবাদে ও এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে
মরদেহ নিয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়কের রিভারভিউ মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।
রাস্তা অবরোধকারী এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, বাপ্পিকে হত্যা করে খোকন পালিয়ে যায়। খুন হওয়ার ২৪ ঘন্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত আসামিকে ধরা হয় নাই। যতক্ষণ আসামিকে ধরে বিচারের আওতায় না আনবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এ সড়ক অবরোধ তুলে নেয়া হবে না।
এদিকে, বাপ্পি হত্যার ঘটনায় তাঁর মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত খোকনকে আসামী করে গত সোমবার রাতে কুড়িগ্রাম সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নিহত বাপ্পির ছোট ভাই বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। টাকার অভাবে বোনের বিয়ের দিতে পারছি না। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি বড় ভাইকে খোকন নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমার পরিবার এখন অসহায় হয়ে পড়লো। আমি প্রশাসনকে জোড় দাবি জানাচ্ছি দ্রুত হত্যাকারি খোকনকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেয়া হোক।’
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে জলিল বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিক কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদের ছেলে আবু সুফিয়ান পাভেল বলেন, ‘অপরাধী অপরাধীই সে যেই হোক। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবী জানাচ্ছি। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক। আসামীকে ধরার জন্য আমরাও আমাদের লোক দিয়ে আসামীকে খুঁজছি।’
উল্লেখ্য গত সোমবার (৩০ মে) বিকেলের দিকে নিহত মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি ও খোকন ইসলাম (৩২) দুজনে জলিল বিড়ি নামের একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করছিলেন। এসময় কাজ করা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লাগে। এক পর্যায়ে খোকন নিহত মাঈদুলকে চুরি দিয়ে আঘাত করলেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি কুড়িগ্রাম আর্দশ মজিদ ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিহত বাপ্পি পৌরশহরের মাটিকাটা মোড় এলাকার খাদেম আলীর ছেলে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) গোলাম মর্তুজা জানান, অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে আমাদের। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
###/