কুড়িগ্রামে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় বনাঢ্য আয়োজনে সপ্তম বর্যপূর্তি পালন

আপডেট: আগস্ট ১, ২০২২
0

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই বন্দী জীবনের ৬৮ বছরের যন্ত্রণাদায়ক গ্লানি থেকে মুক্তি পেয়েছিল বিলুপ্ত ছিটমহলের অধিবাসীরা। সেই থেকে প্রতি বছরেই ঐতিহাসিক ওই দিনটিকে স্মরনীয় রাখতে বনাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে আসছে ছিটমহলবাসীরা।

গতকাল ৩১ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতী প্রজ্জ্বলনের মধ‍্যদিয়ে ৭ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করেছে দেশের বৃহত্তম বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার মানুষ। ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের মাঝখানে অবস্থান বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার ছিটমহল।
দিনটি উপলক্ষে দাসিয়ারছড়ার মেইন পয়েন্ট কালিরহাট বাজার সংলগ্ন কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮ টি মোমবাতি প্রজ্জলন ও কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী।

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুণ-অর-রশিদ হারুণের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আবু সাইদ লোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান শেখ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা দুলাল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলন, ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসোন, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক মিলন, দাসিয়ারছড়াবাসী নুর-আলম মিয়া ও জাকির হোসেন প্রমুখ। আলোচনা শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে সোমবার সকালে আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভা যাত্রা, নৌকা বাইচসহ বিভিন্ন খেলাধূলা। পাশাপাশি দাসিয়ারছড়ার মসজিদে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও মন্দিরে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।
উল্লেখ্য,২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তি’র বাস্তবায়ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১ টি ছিটমহল দুই-দেশের ভু-খন্ডে যুক্ত হয়। দীর্ঘ ৬৮ বছর বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে ১৬২টি ছিটমহল একীভূত হয়ে নাগরিকত্ব লাভ করেন ছিটমহলের অধিবাসীরা এবং তারা বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিক হবার সুযোগ পান।
###