কৃষকের স্বপ্ন ভেসে গেল বৃষ্টির পানিতে!

আপডেট: এপ্রিল ১০, ২০২২
0

ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দুধকুমার, কালজানি ও সংকোষ নদের বুকে জেগে ওঠা চরে লাগানো বোরো ধানের ব‍্যাপক ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভূরুঙ্গামারীর সব কটি নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী নিচু জায়গায় রোপণ করা স্থানীয় জাতের কালো বোরো ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।এতে কৃষক যে স্বপ্ন বুনছিল তা ভেসে গেছে বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে।
অনেক ভূমিহীন, দরিদ্র, গরিব ও অসহায় চাষিরা কালো বোরো ধান নদীর দুধারে রোপণ করেছিলেন। আশা ছিল তাদের ধান উত্তোলন করে এই ফসল থেকে লাভবান হবেন। আর কয়েক দিন পরেই ধান কেটে কৃষকের ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু সে আশা এখন নিরাশায় পরিণত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো ম‍ৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ১৯৪ হেক্টর জমিতে ইরি -বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। তার মধ‍্যে নীচু এলাকায় বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে ৩০০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া, তিলাই, পাইকের ছড়া, আন্ধারীঝার, চরভূরুঙ্গামারী, পাইকডাঙ্গা ও ঝুকিয়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে শত শত হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও পানি জমেছে পটল, ঝিঙা, মরিচ, করলা, শসা, চিচিঙ্গা ও শাক-সবজির ক্ষেতে। কোথাও কোথাও ধানের গাছ ও সবজি পচে গেছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,বোরো ধানের ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখলেও ভারি বৃষ্টির কারনে সেই স্বপ্ন ভেসে যাচ্ছে।
উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাংগা গ্রামের আজাদুল বলেন, ৩ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। বৃষ্টিতে ধান খেত পানিতে তলিয়ে আছে। কিছু কিছু ধান পচে যাচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সব ধান পচে যাবে।
ঝুকিয়া এলাকার আমজাদ হোসেন বলেন, অনেক কষ্ট করে বর্গানিয়ে দুই বিঘা জমিতে ধান গাড়ছিলাম তাও তো পানির নিচে চলে গেলো। ভালো ফলন না হলে তো লোকসান গুনতে হবে।
আরাজি পাইক ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও দুধকুমার নদের ধারে প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি। আশা করছিলাম ভালো ফসল পাবো। কিন্তু হঠাৎ ভারি বৃষ্টি হওয়ায় ধানগুলো তলিয়ে গেছে।
চরভূরুঙ্গামারীর কৃষক শফিয়ার ও ইউনুছ আলী বলেন আমাদের নীচু জমিতে লাগানো ইরি-বোরো ধান কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে।আল্লাহ জানেন এখন কি হবে?
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রণয়নে কাজ চলছে।
###
আমিনুর রহমান বাবু
০১৭১৬২৫৬৫৩২
১০-০৪-২২