খালেদা জিয়াকে ‘গৃহবন্দী’ বলায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে চিঠি পাঠাচ্ছে সরকার

আপডেট: জুলাই ১২, ২০২১
0

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে করা প্রতিবেদনের বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল খালেদা জিয়াকে ‘গৃহবন্দী’ বলায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে চিঠি পাঠাচ্ছে সরকার।

আজ সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে রোববার (১১ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনের কিছু অংশে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ। বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘গৃহবন্দী’ হিসেবে ওই প্রতিবেদনে মন্তব্য করাটা চরম বিভ্রান্তিমূলক, তা ব্রিটিশ দূতকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার বাংলাদেশে ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (১১ জুলাই) তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিদেশ, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) প্রকাশিত মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিবেদন ২০২০ এর বাংলাদেশ অধ্যায়ে উল্লেখিত কিছু বিষয় নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও হতাশার কথা জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে (এএইচসি) বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গে ‘গৃহবন্দি’ শব্দটি ব্যবহার করা চরম বিভ্রান্তিকর।

তাকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, বেগম জিয়ার ভাইয়ের আবেদনে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান ১৮৯৮ অনুযায়ী, তার কারাগারের সাজা স্থগিত করেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাড়িতে চিকিৎসা এবং বিদেশ ভ্রমণ করবে না শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটি উল্লেখ করা হয়েছিল যে, তার সাজা স্থগিত এবং জেল থেকে মুক্তি, প্রাথমিক ছয়-মাসের জন্য প্রযোজ্য, পরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে দু’বার এটি বাড়ানো হয়েছিল।