খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয় : চিকিৎসক

আপডেট: জুন ১৪, ২০২২
0

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয় বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ।

সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর তার (খালেদা জিয়া) হার্টের বাকি দুটি ব্লক নিয়ে কাজ করা হবে।

এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইয়ের সদস্য শায়রুল কবির জানিয়েছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য বিকেলে মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। এ বোর্ডে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক আছেন। আর বাইরের চিকিৎসক আছেন ছয়জন। বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন এভায়কেয়ারের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা: শাহবুদ্দিন তালুকদার।

তার আগে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত আরেক চিকিৎসক ডা: মামুন জানিয়েছিলেন, বিদেশে নেয়া ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব নয়। বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে এখনো দুটি ব্লক আছে। এ দুটি ব্লকের কারণে আবারো বেগম জিয়ার হার্টে রিং পরাতে হবে। আর সে জন্য তাকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

গত শুক্রবার (১০ জুন) মধ্যরাতে হঠাৎ হৃদযন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা শুরু হওয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠকে বসে বেগম জিয়ার জন্য গঠিত ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। বৈঠকে বেগম জিয়ার হৃদযন্ত্রের জটিলতার জন্য এনজিওগ্রামসহ বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হৃদযন্ত্রের প্রধান আর্টারিতে ধরা পড়েছে ৯৯ শতাংশ ব্লক। রিং পরানো হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বেগম জিয়াকে বিদেশে নিতে আবারো আহ্বান জানান।

২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। গত ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। এর আগে চিকিৎসকরা বেগম জিয়ার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।