খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি : থাকবেন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত –চিকিৎসক

আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২১
0

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফলাফলগুলো পর্যালোচনা করা পর্যন্ত খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল টিমের প্রধান অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী।মঙ্গলবার রাতে বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ভর্তি করানোর পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ আমরা উনার অন্যান্য যেসব পরীক্ষা গত এক বছর করতে পারিনি সেগুলো করাবো। আমরা রিপোর্টগুলো পেলে তা রিভিউ করবো। একে অস্থির হয়ে উনাকে ভর্তি করালাম। রিপোর্ট ঠিকমতো না দেখে আবার নিয়ে গেলাম, আবার একটা দুইটা পরীক্ষার জন্য আবার উনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম-এটা ভালো দেখায় না।”

‘‘ সেজন্য বিভিন্ন পরীক্ষাগুলো সারতে আমরা উনাকে কেবিনে ভর্তি করিয়েছি।’’

খালেদা জিয়াকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে প্রশ্ন করা হলে এফএম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘ এক-দুইদিন। ম্যাক্সিমাম। রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর তার রিভিউ করবো। তারপর উনাকে বাসায় নিয়ে আসবো।”

খালেদা জিয়ার অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ উনার অব্স্থা স্থিতিশীল। কোবিডের কোনো উপসর্গ উনার নেই্। উনি ভালো আছেন।’’

অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘ আজকে আমরা উনার চেস্টের সিটি স্ক্যান করি্রেছি। প্রথম যে সিটি স্ক্যান করিয়েছিলাম, তার চেয়ে আজকের রিপোর্ট অনেক ভালো। সেই দিক দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ উনি সার্বিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।’’

‘‘ কোবিডের অন্যান্য প্যারামিটার ডি-ডাউমার, ফেরিটিন্স, সিআরপ এগুলো ঠিক আছে।”

রাত সাড়ে ৯টায় খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে আসেন। সেখানে তার সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করার পর চিকিতসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এভার কেয়ারের একটি কেবিনে তিনি আছেন।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ তার চিকিতসকরা গুলশানের বাসায় আসেন। পরে মহাসচিবসহ চিকিতসকরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হাসপাতালেও যান।

গত ১৪ এপ্রিল ‘সিটি স্ক্যান(চেস্ট)’ করাতে খালেদা জিয়াকে এই হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। সিটি স্ক্যানের সেই পরীক্ষার ফলাফল ‘নমিনেল’ আসে।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিতসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে চিকিতসা নিচ্ছেন।

করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়েছিলো কিন্তু ফলাফল পজেটিভ আসে।

‘ফিরোজা’র বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও আরো ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এখন খালেদা জিয়াসহ চারজন করোনা পজেটিভ।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত। দন্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিতসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিতসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।