খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনি-রবি মিছিল সমাবেশ করবে বিএনপি

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
0

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপি আগামী শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ঢাকাসহ দেশের সকল মহানগর এবং আগামী রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দেশের সকল জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করছে।

আজ দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষনা করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সাহসী সেনাপতি, বহুদলীয় গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠাকারী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব কেড়ে নেওয়ার রাজনৈতিক অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।

বিএনপি বলেছে , মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এ দেশের জনগণের যখন আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের কথা তখন তারা এক অনির্বাচিত স্বৈরাশাসনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে চলমান দুর্নীতি, অনাচার, দুঃশাসন এবং সীমাহীন নিপীড়ন থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে উদ্ধার করাব জীবনপন সংগ্রামে রত।

জনমনে সৃষ্ট ক্ষোভ ও প্রতিবাদ যাতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত না হয় সেই লক্ষ্যে জনগণের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত ও ভিন্ন দিকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে গতকাল সরকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের এক সভায় অযাচিত ও ক্ষমতা বহির্ভূত ভাবে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের ১ম সেক্টর কমান্ডার, ১ম ফোর্সেস কমান্ডার এবং ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পরবর্তী সময় বিশৃঙ্খল প্রশাসন, বিধ্বস্থ অর্থনীতি এবং একদলীয় স্বৈরশাসনের অভিশাপ থেকে দেশকে রক্ষা করে যে অসমসাহসী ও দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রনায়োকিচিত ভূমিকা পালন করে দেশ-বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছেন মাতৃভূমির সেই অমর সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেয়া, অসীম সাহসিকতার সাথে সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এবং মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালনের জন্য ১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকারের দেয়া “বীর উত্তম” খেতাব বাতিলের মত অপ্রত্যাশিত, অস্বাভাবিক ও অন্যায় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তাদের এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক নয়Ñ মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমান ও অবমাননা। এমনকি এই সিদ্ধান্ত তাকে খেতাব প্রদানকারী তৎকালীন প্রধান মন্ত্রীর বিচার-বুদ্ধির প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রকাশ। যেসব কারনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব কেড়ে নেয়ার কথা সভায় উপস্থিতগণ উল্লেখ করেছেনÑ তার কোনটাই যুক্তি কিম্বা বাস্তবসম্মত নয়।