গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ সভায় বক্তরা :ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ‘

আপডেট: মে ২৯, ২০২৩
0

গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন অসাধারণ, অদ্বিতীয় ও অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো ব্যক্তিত্বের একজন আজীবনের যোদ্ধা।

২৯.০৫.২০২৩ইং তারিখ রোজ সোমবার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ্র চৌধুরীর স্মরণ সভায় তিনি আরো বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী তাঁর জীবদ্দশায় অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, যার প্রতিটি সামাজিক মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। তিনি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক মালিকানায় বিশ্বাস করতেন না।

ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী দেশের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসকদের একজন হতে পারতেন কিন্তু তিনি শুধু মানুষের শরীরের রোগ নয় সমাজেরও রোগ সারাতে কাজ করেছেন। দেশের দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন করে বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্য অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের মতো হাজারো জীবিত মানুষের চেয়ে তীব্র ও উজ্জ্বলভাবে বেঁচে আছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীকে নিজের আইডল দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের অনেক বড় বড় সৃজনশীল মানুষ রয়েছেন কিন্তু তিনি একইসঙ্গে সৃজনশীল ও প্রতিবাদী মানুষ ছিলেন। তাঁর মতো প্রতিবাদী মানুষ সমাজে বিরল।

অনেক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ শেষে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন কিন্তু তিনি দেশ গঠনে, সমাজ গঠনে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছেন। অনেকের কাছে দেশপ্রেম মানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জাফরুল্লাহ্র চৌধুরীর দেশ প্রেম মানে দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন। স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ফরিদা আখতার, ওয়ালিউল ইসলাম, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মনসুর মুসা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, ডা. কনা চৌধুরী। বক্তরা বলেন, আমরা অসামান্য মানুষটিকে হারিয়েছে। তিনি তাঁর জীবন ও কাজ দিয়ে সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তাঁর স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর সহধর্মিনীও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।