গাজীপুরে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভায় দু’পক্ষের চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি, আহত ৬

আপডেট: জুন ৬, ২০২৩
0

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরে সিটি নির্বাচন পরবর্তী গাছা থানা আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভায় দু’পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছঁুড়ির ঘটনা ঘটেছে। মঞ্চে উপস্থিত দলের নেতাদের সামনে এ ঘটনায় অন্ততঃ ৫/৬জন আহত হয়েছেন। সোমবার মহানগরীর গাছা থানাধীন বোর্ডবাজার এলাকার মোল্লা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন মূল্যায়ন সভায় এ ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা বেগমের কাছে হেরে যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এড. আজমত উল্লা খান। নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ খুঁজে বের করতে মহানগর আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের নিয়ে গত ৩১ মে থেকে নির্বাচন-পরবর্তী মূল্যায়ন সভা পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আগামী ৮ জুন পর্যন্ত এই মূল্যায়ন সভা চলবে। সোমবার গাছা থানা আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভা বোর্ডবাজার এলাকার মোল্লা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয়। গাছা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। সভার প্রথমদিকে বক্তব্য রাখার জন্য স্থানীয় এক নেতার নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় তাকে বক্তব্য না দিতে হট্টগোল শুরু করে কিছু নেতা-কর্মী। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা একে অপরের দিকে কনভেনশন সেন্টারে থাকা লোহার চেয়ার ছুঁড়তে থাকেন। মঞ্চে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। পরে উপস্থিত নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় অন্ততঃ ৫/৬জন আহত হন।

মূল্যায়ন সভায় গাজীপুুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত এড. আজমত উল্লা খান সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভায় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান নেতাকর্মীদের বলেন, গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের এবারের নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় আমাদের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সবদিক থেকে পারফেক্ট ছিল। কিন্তু আমরা কেন মানুষকে বুঝাতে পারলাম না। আপনারা ভেবেছিলেন ২০১৮ সালের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়লাভ হবে। ফলে আপনারা ঘরে ঘরে না গিয়ে ভোট না চেয়ে কাউন্সিলরদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অথচ যেখানে কল্পনাও আসে না ফেল করার সেখানেও আমরা পরাজিত হয়েছি। নির্বাচনে যারা আমাদের ভোট দিত না, তাদের কাছে বারবার গিয়ে ভোট চাইলে দেখা যেতো একসময় বিরক্ত হয়ে তারা আমাদের ভোট দিত। তাই আমি মনেকরি এখন সময় এসেছে এগুলো চিহ্নিত করার। যারা দলকে ভালোবাসে, নৌকাকে ভালোবাসে তাদেরকে চিহ্নিত করেন। নির্বাচনে দলের প্রার্থীর জন্য অনেকেই কষ্ট করেছেন, কিন্তু ঠিকঠাক ফলাফল আসেনি। এখন আপনারা বের করেন কেন আমরা ভোট পাইনি। এরআগে যখন মেয়রকে বহিষ্কার করা হলো তখন যদি এদের চিহ্নিত করা যেত তাহলে আজকের এই সমস্যা হতো না।

আজমত উল্লা খান হট্টগোলের বিষয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেকোন সভায় এ ধরণের হট্টগোল করার অর্থ হলো দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করা। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। দলের নেতাকর্মী হয়ে নির্বাচনে যারা নৌকাকে পরাজিত করেছেন তাদের লজ্জা থাকা উচিত। আমাদের দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। যাতে আগামী দিনে কেউ আবার আমাদের মধ্যে ঢুকে বিভ্রান্তি করে নৌকাকে না হারিয়ে দিতে পারে।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।
০২/০৬/২০২৩ ইং।