গাজীপুরে ই পর্চা ও নামজারি নিয়ে ভোগান্তি প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
0

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে ই- নামজারি ও ই-পর্চা নিয়ে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সার্ভার সমস্যাসহ নানা জটিলতার কারণে ই নামজারি, পর্চার আবেদন ও সেবা পেতে নাগরিকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জমির নামজারি জমাভাগ ও ডিজিটার পর্চার সঙ্গে ভূমি নিবন্ধনের যোগসূত্র থাকায় ভূমি রেজিষ্ট্রেশন আটকে যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে।
জানাযায়, চলতি বছরের শুরুতে কল সেন্টারের মাধ্যমে ভুমিসেবা, ডাকযোগে ভূমিসেবা ও ভুমিসেবা ই-পেমেন্টের উদ্বোধন করা হয়। বর্তমান আইনে জমির নামজারি জমাভাগ ও ডিজিটাল পর্চা ব্যাতিরেকে ভূমি্ রেজিষ্ট্রেশন আটকে যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতিতে পরছে সরকার।
ভূক্তভোগী গাজীপুর মহানগরের শরিফপুর এলাকার মহফুজুর রহমান জানান, চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ডিজিটাল পর্চা উত্তোলনের জন্য জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে আবেন করা হয়। কিন্তু সার্ভার সমস্যা কারণে আবেদন সম্পন্ন করা যায়নি।পরবর্তীতে ২য় সপ্তাহে এসে একই অবস্থা। তখন দায়িত্বশীলরা জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ই- পড়র্চার আবেদন এখন গ্রহণ করা হয়না। এখন থেকে ওই সক্রান্ত সকল আবেদন বাহির থেকে করতে হবে। পরে বাহির থেকে আবেদন করতে গেলে অধিকাংশ আবেদনে মৌজা ও খতিয়ান লিখে সার্চ দিলে সার্ভারে অন্য মৌজার দেখা মিলছে। এছাড়া নামজারির ক্ষেত্রেও সার্ভার সম্যার কারণে আবেদন করতে ভোগান্তি হচ্ছে।
ইটালি প্রবাসি গাজীপুর মহানগরের মনির হোসেন জানান,আমি ছুটিতে দেশে এসে জমির হালনাগাদ খাজনা খারিজ ডিজিটাল ভিড়ম্বনার কারণে সম্পন্ন করতে পারিনি। আমার আইড কার্ড নেই পাসপোর্ট ও জম্মনিবন্ধন দিয়ে খাজনা খারিজ ও ই- পর্চা উঠাতে পারিনি এমনকি জমি রেজিষ্ট্রিওকরতে পারিনি।তাই কাজ সম্পন্ন না করেই আমাকে ইটালি ফেরৎ যেতে হয়েছে।
মহানগরের সোন্ডা এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, জরুরি ভিত্তিতে জমি রেজিষ্ট্রেশনেরর জন্যে পড়চার আবেদন করতে গেলে একই সম্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,আমার জরুরি পর্চার প্রয়েজন কিন্ত দায়িত্বশীলরা বলেছেন,আপনার পর্চা ডাকযোগো বাসায় পৌছে দেয়া হবে। ডাকযোগে বাসায় পর্চা আসতেতো সময়ের প্রয়োজন কিন্তু আমার জমি রেজিষ্ট্রেশন তো পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাকে অনেক সমস্যার মধ্যে পরতে হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বাবুল হোসেন জানান, আমি ই-পর্চা ও নামজারির আবেদন করতে গিয়ে প্রথমে ৫০ টাকা কোর্ট ফি পরিশোধ করে আবেদন করেও নির্ধারিত তারিখের এক সপ্তাহ পরে পর্চা পেয়েছি।এছাড়া বর্তমানে ই পর্চারআবেদন করতে গেলে ৫০ টার সাথে বাধ্যতামূলক ডাকমাসুলবাবদ আরো ৪০ টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।আমি অফিসের ডেক্স থেকে জরুরি ভিত্তিতে পর্চা সগ্রহ করতে চাই কিন্ত পারছিনা। নামজারির ক্ষেত্রেও সার্ভার সমস্যার কারণে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। ভূমি কর দেয়ার ক্ষেত্রেও অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে হচ্ছে এতে ভিলম্ব হচ্ছে।অনেকের ভূমি পরিশোধ না করার কারণে জমি রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেনা।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন , ই পর্চা ও নামজারি ক্ষেত্রে সার্ভার সমস্যা সহ কিছু জটিলতা রয়েছে অচিরেই ওইগুলো দূর করা হবে। তখন মানুষ এর সুফল ভোগ করবে।
অনেকের অভিমত একটা প্রযুক্তি সম্পূর্ণ না করে এভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি। পাশাপাশি আগের ম্যানুয়াল পদ্ধি চলমান থাকলে জনগণের ভোগান্তি হতোনা। এছারা আমাদের দেশে প্রায় ৩৫- ৪০ ভাগ লোক অক্ষর জ্ঞানহীন যাদের প্রযুক্তি সম্পর্ক্যে কোন ধারণা নেই তাই হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত ভোগান্তির পাশাপাশি দালালদের খপ্পরে পরে অনেকে প্রতিরিত হবে।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর।
২৫/০৯/২০২২ ইং